সাংবাদিক, শিক্ষক
ঝিনাইদহের আড়মুখ গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে মশু ভেবেছিলো এবার আমি পেয়েছি গুপ্তধন আমার ভাগ্য খুলবে। তাই বড় আশায় বাড়িতে নিয়ে শাবল দিয়ে ভাঙলাম বাক্স। পরে দেখলাম বোমা আকৃতির বস্তু। সব আশা হয়ে গেলো নিরাশ, ভয় পেয়ে গ্রামবাসীকে খবর দিলাম। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ মাইন ভর্তি বাক্স ২টি উদ্ধার করে নিয়ে আসে স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আড়মুখ গ্রামের ইসরাইল বিশ্বাস, শান্তি বিশ্বাস ও কবির হোসেনের সাথে কথা হয়। তারা জানান, বুধবার বিকেলে আড়মুখ গ্রামের মশিউর রহমান মশু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে যায়। সেখানে শিমুল গাছের গোড়ায় মাটির নিচে ১টি মরচে ধরা বাক্সের কোনা দেখতে পায়। সে প্রথমে হাত দিয়ে বাক্সটি তোলার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তার মেয়েকে বাড়ি থেকে কোদাল আনতে বলে।
কোদাল দিয়ে খুঁড়ে বাক্স দুটি উদ্ধার করে। চুপিচুপি ঘরের ভেতর নিয়ে যায়। কাউকে না জানিয়ে ঘরের ভেতর ১টি বাক্স খোলে। তার ভেতর গোলাকার চাকতি আকৃতির বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখে ভয় পেয়ে যায়। প্রথমে গ্রামের লোকদের জানায়।
পরে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝিনাইদহ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার ঘটনাস্থলে পৌছে বাক্স দুটি ঘিরে রাখে। রাত ১২টার দিকে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়। ১টি বাক্স খুলে ২০টি মাইন পাওয়া যায়।
একই আকৃতির অপর বাক্সে আরো ২০টি মাইন আছে বলে নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রশিদ জানান।
পুলিশ জানায়, এ মাইনগুলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের। ধারণা করা হচ্ছে- পাক হানাদার বাহিনী পালানোর সময় মাইনভর্তি বাক্স ২টি আড়মুখ গ্রামের পুকুরের মধ্যে ফেলে যায়। দীর্ঘদিন থাকার পর বাক্স দুটিতে মরচে ধরেছে। কিন্তু ভেতরে শক্ত পলিথিনে মোড়ানো মাইনগুলো এখনো তাজা রয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদলকে জানানো হয়েছে। তারা এসে মাইনগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।