ছাত্রলীগ কর্মীর ইভটিজিংয়েই আত্মহত্যা করে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার চরখাজুরা গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রুমি আক্তার। ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলের অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতনে বিষপান করে আত্মহত্যা করে রুমি। এ ব্যাপারে রুমির বাবা হাফিজুর রহমান মিন্টু ঝিনাইদহ সদর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘ ১৫ দিন মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিকদের কাছে মামলাটি গোপন রেখে পুলিশ উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে বলে হাফিজুর রহমান মিন্টু অভিযোগ করেছেন। এদিকে নিহতের মামা সাজেদুর রহমান সাচ্চু দাবি করেছেন, সোহেল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য।
উল্লেখ্য, ৪ মে বিকালে রুমি বিষপান করলে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ মে দুপুরে রুমির মৃত্যু ঘটে। দেশব্যাপী ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন এবং সরকারের হুশিয়ারি সত্ত্বেও ঝিনাইদহ থানা পুলিশ মামলার আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলকে ধরতে গড়িমসি করছে বলে বাদীর আত্মীয়-স্বজন অভিযোগ করেছেন। পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে নিহত রুমির পরিবার মামলার ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।