শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নওদাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে কোটচাঁদপুরের ওসি শাহাজাহান আলী জানান।
নিহত এনামুল হক (৪৫) কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে এনামুলের বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নওদাপাড়া গ্রামে সন্ত্রাসীদের ‘গোপন বৈঠক’- এর খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবার রাতে সেখানে যৌথ অভিযান চালায়।
“রাত দেড়টার দিকে নওদাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা বোমা ফাটিয়ে গুলি শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে প্রায় ১৫ মিনিট বন্দুক যুদ্ধ চলে। ”
এরপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে বলে ওসি জানান।
পরে গ্রামবাসীরা গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে স্থানীয় জামায়াত নেতা এনামুল হক বলে সনাক্ত করেন।
অভিযান শেষে রাত ৪টার দিকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ হোসেন এনামুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, ‘বন্দুক যুদ্ধে’ পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন ও মিজানুর রহমান এবং কনস্টেবল জয়দেব কুমার আহত হন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।