আজকাল পুলাপাইনের কথা শুনলে রাগ লাগে । প্রচণ্ড ।
কয়েকটা ঘটনা বলি
এক -
দোকানে যাইতেছি । সামনে দুইটা বর্তমান যুগের ছেলে কথা বলতে বলতে যাইতেছিল । আমি একটা সামনে যাইতেই কথা শুনতে পারলাম ।
ওমা হেরা তো ওবামার দেশের ভাষা কয় ? মেজাজটাই খারাপ হইয়া গেলো । কারণ তারা দুজনেই ইংরেজিতে মত বিনিময় করছিল ।
দুই -
কপাল বড্ড বেশি খারাপ ছিল । ঐদিনই দোকানে ঢুকার পর এক বাপ তার ছোট মেয়েরে নিয়া দোকানে ঢুকল । বাপ মেয়েরে জিগায় , '' কি খাবা ? ''
মেয়ে , '' মুঝে পাতা নেহি ।
''
মাথা যতোটা সম্ভব গরম হইলো ।
তিন -
আজকে মসজিদ থেকে নামতেছি । এক ছেলে মোবাইল দিয়ে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়া নামতেছিল । সে আরেকজনকে আর কি বলতেছিল সে কোথায় আছে ।
'' আরে ঐ মসজিদে , AT THE END OF THE ROAD ''
জাপানিজ , চাইনিজরা কিন্তু আমাদের থেকে উন্নতই ।
তারা ইংরেজি শিখে না তা কিন্তু না । তবে তারা তততুকুই শিখে যতটুকু দরকার । অপরকে তার কথা বুঝাইতে পারলেই হইলো । কিন্তু আমাদের বাঙ্গালিদের সমস্যা হইলো আমাদেরকে ইংরেজি পারতে হবে একেবারে ওবামার দেশের । নো হাংকি পাংকি ।
ঠোট , মুখ চ্যাঁগাইয়া ঐ ভাষা কইতে কইতে বাংলা ভাষাও চিবাইয়া চিবাইয়া কয় ।
একটা ঘটনা বলি - একবার একটা সম্মেলন হল । বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্দালয়ের অধ্যাপকরা আসছে । বাংলাদেশের বুয়েট থেকেও কয়েকজন গেছে । চীনের একজন তার ভাষণ রাখল সম্মেলনে ।
তার ইংরেজির অবস্থা দেইখা বাঙ্গালীরা হাসা হাসি করতে লাগলো । সম্মেলন শেষে তারা দেখল তারা এরফলে কোনভাবে উপকৃত হয় নাই । কারণ তারা হাসাহাসিতে ব্যস্ত ছিল । তারা ছাড়া বাকি সবাই মনোযোগ দিয়া কথা শুইনা জ্ঞানঅর্জন করছে ।
দোষ যে কারে দিমু তাও কষ্টের যারা এমন করে নাকি যারা এই রকম করতে উদ্বুদ্ধ করে ।
আমরা নাকি ভাষার জন্য যুদ্ধ করছিলাম । হাহ ।
নিজেকে তাদের মাঝে কেমন যেন একলা লাগে । দূরের লাগে । উচিত হওয়ার কথা যারা এই রকম করে তাদেরকে ধিক দেয়া উল্টা আমরা '' খ্যাত '' বলিয়া বিবেচিত হই ।
তো গো খেতা পুড়ি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।