ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ সপরিবারে ঈদবাজার করছেন রেয়াজুদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেইনে। স্ত্রী-পুত্র সবার হাতে নতুন পণ্যের প্যাকেট। তিনি জানালেন, রাত ৯টায় রেয়াজুদ্দিন বাজারে ঢুকে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা শুরু করি। সবার জন্য, সব ধরনের কেনাকাটা এ বাজার থেকেই করেছি। কোনো কিছুর জন্যই এ বাজার থেকে বের হতে হয়নি। এক জায়গায় সবকিছুর সমাহার হওয়ায় আমি এ বাজার থেকে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এ রকম অনেকেই জানালেন, ঈদবাজারে রূপ ছড়াচ্ছে রেয়াজুদ্দিন বাজার। নগরীর ১১১ বছরের ঐতিহ্যবাহী মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজার। আধুনিকতার রূপ ছড়াচ্ছে। একই মার্কেটে সবকিছুর সমাহার চট্টগ্রামে দ্বিতীয়টি নেই।
জানা যায়, বিশাল আয়তনের এ বাজারে ১২৭টি শপিং মল রয়েছে। এগুলোয় রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার দোকান। কর্মরত প্রায় ২৫ হাজার কর্মচারী। বাজারের প্রায় ৫ হাজার দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো একাধারে ১০টি প্রবেশপথে ঢোকা যায়। একই সঙ্গে এবার ঈদে ক্রেতাসাধারণের বিকিকিনির সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজার। এখানে ঈদের সব পণ্যের সমাহার রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি নগরীর সব মার্কেটে দৈনিক যত ক্রেতা আসেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারে এককভাবে সে-সংখ্যক ক্রেতা আসেন। সরেজমিনে দেখা যায় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।