সরকারি চাকুরেদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো তৈরির জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করেছে পে-কমিশন। সেই সঙ্গে একটি প্রশ্নমালাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্থায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। গতকাল কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অস্থায়ী এ কমিশনের মেয়াদ ৬ মাস। এটা স্থায়ী হওয়া প্রয়োজন। সরকারও ঘোষণা দিয়েছেন স্থায়ী করার। ফলে পে-কমিশন আগামী ১ বছরের আগে নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিতে পারবে না। গতকাল বিসিএস প্রশাসন ভবনে বেতন ও চাকুরি কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীনের সভাপতিত্বে কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এটা বেতন ও চাকুরি কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। আগামী ৬ থেকে ৯ মাসে আমরা কী কাজ করব তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, বর্তমান মূল্যস্ফীতি, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা যায়। বেতন-ভাতা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা থাকলেও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে তা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে করা যাবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন আগে কী ছিল, এখন কী আছে, দেশের ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কী অবস্থায় আছে, কী সঙ্গতি আছে, কী দেওয়া যাবে বা কী যাবে না, অন্যান্য দেশে কী হচ্ছে-এসব কিছু দেখে ঠিক করতে হবে। এসব বিষয় নিয়েই কমিশন আলোচনা করেছে। বৈঠকে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। প্রশ্নমালার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিজ্ঞজনের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে তো নয়ই, আগামী ২, ৩ বা ৬ মাসের মধ্যেও দেওয়া সম্ভব নয়। কোনো কমিশনের রিপোর্টই ১২ মাস ১৪ মাস বা ১৫ মাসের কমে দেওয়া যায়নি। তাই আমরাও যে ৯, ১০ বা ১২ মাসের আগে দিতে পারব তা বলতে পারছি না। এটা কি স্থায়ী পে-কমিশন হিসেবে কাজ করবে কিনা জানতে চাইলে পে-কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এখন পর্যন্ত এটা অস্থায়ী। কিন্তু এটা স্থায়ী হবে-সরকার এ ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। তবে এটাতে হয়তো একটু সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীনকে প্রধান করে গত বছরের ২৪ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সার্কুলারের মাধ্যমে পে-কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনের মোট সদস্য ১৫ জন। এর মধ্যে স্থায়ী সদস্য তিনজন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।