নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
১৯৯৬ সালের ঘটনা। কলেজে একজন শিল্পপতি প্রধান অতিথি হিসেবে আগমন করেন। স্টেজে চেয়ারে বসে তিনি টেবিলে রাখলেন ছোট একটি বস্তু। পাশের একজন বললো, দেখ ঐটা মোবাইল ফোন। আমি গভীর আগ্রহে জিনিসটি দেখতে থাকলাম।
সেটাই জীবনের প্রথম নিজ চোখে মোবাইল ফোন দেখা। এরও চার বছর পরে ২০০০ সালে প্রয়োজনের তাগিদেই গ্রামীনের সীম+নোকিয়া৫১১০ সেট সহ ১২০০০ টাকা দিয়ে নিজের একটি মোবাইলফোন কিনি। সেই থেকে আজও সীমটি আছে কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে সেট বদলাতে হয়েছে। নকিয়া ৫১১০ এর পর নকিয়া ৭১১০, এলকাটেল, নকিয়া ২১০০, নকিয়া ১১০০, নকিয়া ১৬০০ এবং সবশেষে নকিয়া ৬০২০। ৬০২০ মডেলটি কবে থেকে ব্যবহার করছি ভুলেই গেছি।
নষ্টও হয়না, পাল্টাতেও পারি না।
ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসে আমার আগ্রহ প্রবল সেই ছোটবেলা থেকেই। তাই মোবাইফোনের বিবর্তনগুলোও খুব এনজয় করি। মুঠোফোন কথা বলার সুবিধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তার সুবিধা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। আমার জানা মুঠোফোনের সুবিধাগুলো নিম্নরূপ:
1. কথা বলা
2. মেসেজ পাঠানো
3. ক্যালকুলেটর
4. টর্চ লাইট
5. রেডিও
6. কম্পাস
7. ঘড়ি
8. গান/নাটক/সিনেমা শোনা এবং দেখা
9. ইন্টারনেট ব্যবহার
10. মডেম হিসেবে ব্যবহার
11. টিভি হিসেবে ব্যবহার
12. ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার
13. জিপিএস হিসেবে ব্যবহার
14. কম্পিউটারের অনেক সুবিধা
15. প্রজেক্টর
আরো যে সকল সুবিধা আগামিতে আসতে পারে:
1. রক্তচাপ নির্নয়
2. ক্রেডিটকার্ড সুবিধা
3. পাসপোর্ট সুবিধা
এই ছোট্ট একটি বস্তু প্রতিনিয়তই বিস্ময় থেকে বিস্ময়কর হয়ে উঠছে।
আমার ডায়েরী তে প্রকাশিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।