ইতিহাস, নেই অমরত্বের লোভ/ আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ...
পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর মধ্যে বাণিজ্য একটি। রাহুল সাংকৃত্যায়নের ভলগা থেকে গঙ্গা বইতে এই পেশার উৎপত্তির চমকপ্রদ ইতিহাস বর্ণিত আছে। যে যেভাবেই এ পেশার merit কে মূল্যায়ণ করুক না কেন, এ পেশার প্রয়োজনীয়তা কালের ভ্রুকুটিকে অতিক্রম করতে পেরেছে; সন্দেহ নেই।
প্রতিযোগিতামূল বাজারের বিকাশের সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের চাহিদা বাড়ানর জন্য পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে সচেতন হলেন। কিন্তু সময় গড়ালে মানুষের মাথায় নতুন বুদ্ধি খোলে।
বাণিজ্যের লক্ষ যেহেতু অর্থের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সমাগম নিশ্চিত করা, তাই ব্যবসায়ীদের বুদ্ধিও সেই রাস্তাতেই খুলল।
সুযোগের সন্ধান করা ও তার সদ্ব্যবহার করাই বাণিজ্যের আদি প্রণোদনা। রাহুল সাংকৃত্যায়ণের যে বইয়ের উল্লেখ করেছি, সেখানেও এ কথার সত্যতা পাওয়া যায়। সুযোগ সন্ধান ও সদ্ব্যাবহারের অন্যতম নজির হল পণ্যের মান না বাড়িয়ে বরং পণ্যের গুণগান করা। বুঝতে পারছেন আমি বিজ্ঞাপণের কথা বলছি।
পণ্য থেকে profit maximize করার জন্য আজ কত আয়োজন। শঙ্খ ঘোষের 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে' কবিতার কথা মনে পড়ছে। কত মেধাবী মস্তিষ্ককে একটা বিশেষ প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ বিষয়ে পড়িয়ে সেবাদাসে পরিণত করা হচ্ছে- সেই বিষন্ণ বাস্তবতার কথা মনে পড়ছে।
যেকোন মিথষ্ক্রিয়ার পূর্বশর্ত হল, তা হতে হবে উভয় পক্ষের জন্যই কল্যাণকর ও লাভজনক। তা না হলে, লাভের গুড় চিরকাল পিঁপড়ের পেটেই যায়।
অথচ, আমাদের এই সর্বগ্রাসী বাণিজ্যিকীকরণের যুগে বণিকের কল্যাণ নিশ্চিত করার সব আয়োজন থাকলেও চোখে পড়েনা কেবল ভোক্তাদের benefit maximize করার কোন মোক্ষম আয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।