আমি বিদ্রোহী
লক্কড়ঝক্কর গাড়ি ধরতে মোবাইল কোর্ট বসছে আজ : পুনঃমেরামতের নির্দেশে যানসঙ্কট, যাত্রী দুর্ভোগ
আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উপলক্ষে রাজধানীতে লক্কড়ঝক্কর ও রংচটা বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধে আজ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে এসব মোবাইল কোর্ট বসানো হবে। যেসব বাস মালিক সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে যানবহন চালাবে তাদের বাস-মিনিবাসকে জরিমানা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিলের মতো বড় ধরনের সাজা দেয়া হবে। তবে বাস মালিকরা জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্কট, কারিগরের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক বাস-মিনিবাস সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে গাড়ি রং করা ও মেরামতের কারণে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা কমে গেছে।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
এদিকে গতকাল সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ, কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী, রং-চটা, চলটা ওঠা, ভাঙাচোরা, দৃষ্টিকটু এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালালে ও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীকে সুসজ্জিতকরণ ও যান চলাচলের শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়। তবে অসুস্থতার কারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুবুর রহমান কোনো বক্তব্য দিতে পারেননি।
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ খান বলেছেন, রাজধানীতে ৪৯টি রুটে চার হাজারের বেশি যানবহন চলাচল করে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশিরভাগ গাড়ির পুনঃমেরামত ও রঙের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কারিগরের অভাবে অনেক গাড়ি এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে ৭ দিন সময় পাওয়া যাবে তার মধ্যে এসব গাড়ি মেরামত করা সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে গতকালও রং-চটা, চলটা ওঠা ও ভাঙাচোরা গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক লক্কড়ঝক্কর ও বডিভাঙা গাড়িতে শুধু রঙের আস্তর দিয়েই চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে মহানগরে চলাচলকারী যানবাহন সুসজ্জিতকরণসহ ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রং-চটা, চলটা ওঠা, ভাঙাচোরা, দৃষ্টিকটু এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে দৈনিক পানির ঘাটতি ২০ কোটি লিটার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।