আমি বিদ্রোহী
সাংবাদিকতার ব্যপারে আমার কিছু মত
রিবেল মনোয়ার
সাংবাদিকতাকে মহান পেশা হিসেবে জানি । বাংলাদেশের কিছু ধনী লোকের আচরণ দেখলে অত্যন্ত কষ্ট পাই । মিডিয়ার মালিক থাকবে সত্য তবে তা হস্তক্ষেপমুক্ত হতে হবে । সাংবাদিকরা কিন্তু পুঁজিপতিদের চাকর নয় একথা তথাকথিত মিডিয়া বিনিয়োগকারীদেও বুঝতে হবে । কিছুদিন আগে এটিএন বাংলা থেকে এ সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় সাংবাদিক রাহুল রাহা বৈশাখী টিভিতে যোগ দেয় ।
এটিএন বাংলা কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে নান পদক্ষেপ নেয় যা নিন্দনীয় । একজন অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে পাওে তাতে কতৃপক্ষ এমন আচরণ করতে পারেনা যা এটিএন বাংলা কতৃপক্ষ করেছে । এটিএন বাংলা কতৃপক্ষের জন্য এটা খারাপ উদাহরণ । তবে আমরা খুশি হই কিছু ভালো উদাহরণে ।
অপরাধবিষয়ক রিপোর্টিংয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ‘ক্র্যাব অ্যাওয়ার্ড-২০১০’ পেয়েছেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ ইবনে আইয়ুব কার্জন।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২৭ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এপুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমদ ও র্যাবের ডিজি মোকলেসুর রহমান। মাসুদ কার্জন অনুসন্ধানী ক্যাটাগরিতে ‘ইয়াবার জালে’ শিরোনামে চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য নাহিদ তš§য় তনু (সমকাল), নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য মিজান মালিক (যুগান্তর) ও অনুসন্ধানমূলক টিভি রিপোর্টিংয়ে মাহমুদুর রহমান (এটিএন বাংলা) পুরস্কার পাচ্ছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ, ২৮ জানুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা: ২। আরেকটি ঘটনা বলতে চাই--
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা এক সাংবাদিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনাটি ঘটে ২৫ জানুয়ারি দুপুরে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম জানায়, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগ কর্মী লালনের সঙ্গে জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রলীগ সমাজবিজ্ঞান ২য় বর্ষের রাজুর মোবাইলের রিং টোন বাজানো নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লালন রাজুকে মারধর করে।
এ খবর হলে ছড়িয়ে পড়লে উভয় হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলাভবনের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দেয়। ঘটনা¯’লে উপ¯ি’ত দৈনিক সকালের খবরের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বিষয়টি জানতে চাইলে মুহসীন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকেও মারধর করে। পরে ইমরান প্রক্টর রুমে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বির“দ্ধে শাস্তিমূলক ব্যব¯’া নেয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক, ২৬ জানুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা: ৩। এ ঘটনায় আমিও আামার হলের ছোটভাই ইমরানের ব্রপাওে প্রক্টরের বেঠকে উপস্থিত ছিলাম তাতে প্রশাসনের অসহায়ত্ব দেখেছি । ( লেখক - মেট্রো ঢাকা রিপোর্টার দৈনিক সমকাল--আমার সাথে ইমরান ছাড়া আর কারো কোন ব্যক্তিগত পরিচয় নেই । একজন নগন্য সংবাদকর্মী হিসেবে কিছু কথা বললাম )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।