একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা হচ্ছে পাশ্চাত্য বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদেরকে বিপদের সময় ভুলে যায়। ইতিহাসের দিকে তাকালে এমনটিই মনে হবে। ইরানের ধর্মীয় নেতা সম্প্রতি তার ভাষণেও এই কথা উল্লেখ করতে ছাড়ে নি। কিন্তু আসলেও কি তাই ?
আমি মনে করি এই দাবীর যথার্থতা যে একেবারে নেই তা নয়। ইরানের রেজা শাহ, ভিয়েতনামের দিয়েন, ফিলিপিনের মার্কোসসহ আরো অনেক স্বৈরাচারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দোর্দণ্ড প্রতাপে বছরের পর বছর শাসন ও শোষণ করেছে।
কিন্তু যখন এরা বিপদে পড়েছে কিংবা এদের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে তখনই যুক্তরাষ্ট্র এদেরকে ময়লা টিশু পেপারের মত ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সম্প্রতি তিউনিসিয়ার বিন আলির ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই ঘটনা। এসব দৃষ্টান্তের কারণে সবাই ধারণা মুবারককেও যুক্তরাষ্ট্র ছুড়ে ফেলে দিবে। কিন্তু আমার ধারণা ভিন্ন। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র মুবারককে ছুড়ে ফেলে দেবে না; কারণ মুবারকের প্রয়োজন এখনো ফুরিয়ে যায় নি।
এজন্যই মার্কিন নেতাদের মধ্যে এখন চলছে ভীষণ দ্বন্দ্ব । ওবামাপন্থিরা মনে করেন মুবরকের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে তাই তাকে ত্যাগ করা উচিত। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ইহুদীলবি মনে করে মুবারকের প্রয়োজন শেষ হয় নি,তার বিকল্পও এ মুহূর্তে সামনে নেই ফলে মুবারককে আরো কিছু সময় সামনে রাখতে হবে। (এই লিঙ্কে দেখুন)
মার্কিন ও ইসরাইলী নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণেই মিশর এগিয়ে চলেছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। কবে এবং কোথায় এর শেষ তা এ মুহূর্তে আন্দাজ করা কঠিন।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী আল বারাদির হুশিয়ারীর মধ্যেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। (দেখুন এই লিঙ্কে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।