আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন হয়রানির শিকার হয়ে প্রাণ দিলো মাদ্রাসা ছাত্রী


বখাটে যুবক সোহাগের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে এবার প্রাণ দিতে হলো পটুয়াখালীর বাউফল গুলবাগ মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী মুন্নীকে (১৩)। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় শুক্রবার রাতে মুন্নী আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর পূর্বে নিজ ডায়েরিতে তার আত্মহননের কারণ লিখে গেছে। লিখিত চিঠি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ গুলবাগ গ্রামের তোফাজ্জেল হক মুন্সীর ছেলে। সে একই এলাকার হতদরিদ্র করিম সিকদারের মেয়ে মুন্নীকে ৭-৮ মাস পূর্বে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত।

প্রথমে রাজি না থাকলেও ৪-৫ মাস আগে সোহাগের অভিনয়ের ফাঁদে পা দেয় শিশু মুন্নী। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সোহাগ। উভয়ের অজান্তেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মুন্নী। প্রথমে সে তার মা মরিয়ম বেগমকে ঘটনাটি জানায়। মা মরিয়ম বেগম মানসম্মানের কথা চিন্তা করে মুন্নীকে বিয়ে করার জন্য সোহাগকে প্রস্তাব দেয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় সোহাগ। সে মুন্নীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় মুন্নী ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সোহাগের অভিভাবকদের কাছে গিয়ে বিস্তারিত ঘটনা জানায় এবং তাকে বিয়ে করতে সোহাগকে অনুরোধ করে। কিন্তু সোহাগের পরিবার মুন্নীকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ওই রাতেই বাড়ি না ফিরে সোহাগের ঘরের পেছনে পুকুর পাড়ের জাম গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

মুন্নী ডায়েরিতে একটি অংশে লিখেছে, 'আমি জানি এ পৃথিবীতে আসা যেমন কঠিন যাওয়া তার চেয়েও কঠিন। তবুও আমি দেখিয়ে দিতে চাই মানুষের জীবনের চেয়েও ভালবাসার মূল্য অধিক। ' শনিবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনার পর সোহাগসহ তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে। গুলবাগ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল হক তালুকদার বলেন, মুন্নী চলতি বছর জেডিসি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে নবম শ্রেণীতে উঠেছিল।

সে খুব ভদ্র ও নম্র প্রকৃতির মেয়ে ছিল বলে তিনি জানান। তিনি সোহাগের ফাঁসি দাবি করেন। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শীল মনি চাকমা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে। খবর শীর্ষ নিউজ ডটকম ।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.