হে পলাতক আমি, তোমার জন্য আমার ভীষণ কষ্ট হয়। কত কিছুই না ঘটে প্রতিদিন সারা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে। সূর্য ওঠা, ফুল শয্যা, ম্যাকডোনাল্ডস, আর না খেয়ে ডাস্টবিনের পাশে শীতে কুঁকড়ে মরে থাকে বৃদ্ধা- আমার মায়ের বয়সী হবে হয়তো। কিন্তু দিন ঠিকই কেটে যায়। সূর্য আবার অস্তাচলে যায়।
আমার দেশের শীর্ণকায় মুখের মানচিত্র আর বদলায়না। তোমার মত ভণ্ডের দল ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ ছাড়ে।
কত গল্প। জানেন দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। ওখানে মানুষ বাস করে? তাইতো মানুষইতো।
মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে যখন জন্ম হল, তোমার নাড়ী পোঁতা হল দেশের মাটিতে। ও নাড়ীতো তখন কোন মানুষের ছিলনা। গরু, ছাগল বা অন্য কোন প্রজাতির। আসল মানুষ হয়ে জন্মানোর আশায় লাইন লাগালে বিদেশী এমব্যাসির সামনে। পুলিশের গুঁতানি, সকাল বিকাল সাইফুর’স-এর আইএলটিএস, এমব্যাসির একাউন্টে চকচকে নোট- কে তোমায় ঠেকাল? মানুষ এবার তোমায় হতেই হবে।
হাতে যখন বিদেশের ভিসা পেলে এই অভাগা দেশ ছেড়ে যাবার আনন্দে মিষ্টি বিলালে। হবেনা? তুমিযে মানুষ হবে। কিন্তু তুমিতো শোননি এই গর্ভধারিণী দেশ তোমার জন্য গলাফাটিয়ে চিৎকার করে কেঁদে ছিল। কেউ শোনেনা।
নতুন দেশে প্লেনের দানবীয় পেট থেকে বের হলে।
ও-ই বোধ হয় তোমাকে ‘মনুষ্য’ জন্ম দিল। ‘মনুষ্য’ ঘটি জন্ম। তুমি চকচকে গাড়ি চালাও, শপিং কর সুপার মার্কেটে- যার এক মাথা থেকে অন্য মাথা দেখা যায়না, আর প্রতিদিন তোমার ডাস্টবিনে পচে সুস্বাদু গাদা গাদা খাবার-যা দিয়ে তোমার বেজন্মা দেশের রাস্তার ধারের শিশুটি অন্তত এক সপ্তাহ ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে পারত।
তোমার অভাগা দেশে কি ছিলনা। সরল সহজ কৃষক, ক্ষেত মজুর, রিকশা ওয়ালা, বস্তিতে থাকা হাড্ডিসার গার্মেন্টস কর্মী।
ওদের-তো দু’বেলা দু’মুঠ পেলেই চলতো। এরতো বেশী ওরা চাইনি? তুমিতো দেশে ছিলে গুটিকতক ওই পেটমোটা আমলা, ঘুষখোর পুলিশ, ক্ষমতালোভী আর্মি আর দগদগে পচে যাওয়া ঘাঁ-ইয়ে রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধি। ঠিকইতো দেশে তুমি মানুষ ছিলেনা। না হলে নীরবে কি করে দেখলে এই দেশটার রক্ত ক্ষরণ-এই গুটি কতক লোকের বলৎকার। কি চমৎকার ভাবে পালালে- এ বলৎকার যেন অতি অতি স্বাভাবিক।
বেজন্মা কে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।