আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদালতে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ এর জবানবন্দি



আদালতে মার্কিন সাংবাদিকের জবানবন্দি তাহেরের বিচার ছিল রাষ্ট্রীয় অপরাধ আমি ৩০ বছর ধরে এ দিনের প্রত্যাশা করছি ০০ মাঈনুল আলম ও দিদারুল আলম দৈনিক ইত্তেফাক ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ বলেছেন, জিয়া এককভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কর্নেল (অব.) আবু তাহেরকে তথাকথিত বিচারের মুখোমুখি করার এবং ফাঁসিতে ঝোলানোর। জিয়ার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মকতর্া বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেন, আইনের দৃষ্টিতে তাহেরের বিচার কেবল বিরাট ভুলই নয় বরং রাষ্ট্রীয় অপরাধও বটে। আর তিন দশক ধরে বয়ে বেড়ানো এই রাষ্ট্রীয় অপরাধের সুষ্ঠু সমাপ্তি হতে পারে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে। সেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আদালতের।

বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার লরেন্স লিফশুলজের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্র পক্ষ। বক্তব্যে লিফশুলজ তাহেরের বিচারকে বর্ণনা করেছেন কারা অন্তরালের গোপন বিচার হিসেবে। তাহেরের ফাঁসি কার্যকর ছিল ন্যায় বিচারের নামে অপবিচারেরই নামান্তর। তিনি বলেন, আদালতের এই অনুরোধের জন্য আমি ৩০ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। এটাকে আমি মনে করছি আমার জীবনের পাওয়া অন্যতম সম্মান হিসেবে।

অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এডভোকেট এমকে রহমান এফিডেভিট আকারে এ বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন। লিফশুলজ বলেন, কর্নেল তাহের হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটে যখন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক বৈধতা ছিল না। ফলে বিচারের নামে তাহের হত্যাকাণ্ডে সংবিধান অবমাননা ও মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে। সামরিক শাসনামলে খুব ন্যক্কারজনকভাবে এ ঘটনাটি ঘটেছে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিশেষ সামরিক আদালত-১-এর আইনগত ভিত্তি কি ছিল? এই ট্রাইবু্যনালে যাদের বিচার করা হয়েছে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পযর্াপ্ত সময় ও সুযোগ দেয়া হয়েছিল কি? বিচার কার্যক্রম শুরু হবার আগে তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কি? এই ট্রাইবু্যনালের কি ধরনের সাংবিধানিক ও নৈতিক বৈধতা রয়েছে যারা মৃতু্যদণ্ডের মতো সাজা দিতে পারে? কর্নেল ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বাধীন এই ট্রাইবু্যনালকে ক্যাঙ্গারু কোর্টের সঙ্গে তুলনা করে লিফশুলজ বলেন, পূর্বনিধর্ারিত ও সাজানো মৃতু্যদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। এসব প্রশ্ন উত্থাপন করা এবং জবাব দেয়ার সময় এখনই।

আরো বলা যায়, বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত ও বর্ণিত প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারের ধারা বিবেচনায় এসব প্রশ্নের আইনি সমাধান দরকার। আমি সুপ্রিম কোর্টে যেসব বক্তব্য ও তথ্য দেবো সেগুলো হয়ত উলেস্নখিত প্রশ্নের জবাব পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের জুন মাসে আমি ঢাকায় আসি। তখন সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল মঞ্জুর আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৭৪ সালে নয়া দিলস্নীতে।

তখন তিনি ভারতে বাংলাদেশের সামরিক এ্যাটাশে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একজন জুনিয়র সেনা অফিসার হিসেবে মঞ্জুর কিভাবে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন সেসব দুর্ধর্ষ ঘটনার বর্ণনা আমি তার কাছ থেকে জানতে আগ্রহী ছিলাম। মঞ্জুর তাহের তার দুই সহকমর্ী আবু তাহের ও মেজর জিয়াউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে দুঃসাহসিকতার সঙ্গে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পান। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় এসে আমি জেনারেল মঞ্জুরের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ ব্যক্ত করলে তিনি একজন লোক পাঠিয়ে ক্যান্টনমেন্টে সেনা সদর দপ্তরে রাতে যাবার ব্যবস্থা করেন। রাত নয়টায় আমি সেখানে পেঁৗছি এবং তিন ঘণ্টা অবস্থান করি। মঞ্জুরের সঙ্গে আমার আলাপচারিতায় ছয় মাস ধরে কারাঅন্তরীণ কর্নেল আবু তাহেরের বিষয়ে বেশি কথা হয়। মঞ্জুর আমাকে জানান তাহেরকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় একাকী বন্দিজীবন যাপন করতে হচ্ছে। এরপর আমি কতদিন বাংলাদেশে অবস্থান করব তা জানতে চায় জেনারেল মঞ্জুর।

আমি তাকে জানাই জুনের শেষ দিকে আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাব। মঞ্জুর আমাকে আপাতত বাংলাদেশে থাকার অনুরোধ করেন এবং আশংকা করেন যে, তাহেরের বিচার করা হবে। মঞ্জুর ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সিনিয়র সেনা অফিসাররা তখন জিয়াকে একাজ থেকে বিরত রাখার জন্যে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মঞ্জুর নিশ্চিত ছিলেন না যে, তাহেরের বিরুদ্ধে তথাকথিত বিচারকার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে কিনা? মঞ্জুর আমাকে জানালেন যে, সেনাবাহিনীর ভেতরে স্বাধীনতা বিরোধী অংশের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলছে। তিনি জোর দিয়ে বললেন যে, আমার (লিফশুলজ) এখন ঢাকায় থাকা খুব দরকার।

যদি তাহেরের কোন বিচার হয় তা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় রিপোর্ট করা উচিত। তখন তাকে খুব উদ্বিগ্ন ও শংকিত মনে হচ্ছিল। তাই আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিই । লিফশুলজ বলেন, এরপর জেনারেল মঞ্জুরের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। ঢাকায় তখন ক্রমশই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছিল।

আমি তখন জেনারেল জিয়ার সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা করি। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আমাকে প্রশ্নমালা দিতে বলেন। এ তালিকায় ফারাক্কা বাঁধসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ইসু্যগুলো থাকতে হবে। আমি লিখিত প্রশ্নমালা দিই এবং সে সঙ্গে সাতই নভেম্বরের ঘটনাবলী ও তাহেরের গ্রেফতার সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন জুড়ে দিই। এই সাতই নভেম্বরে কর্নেল তাহের জিয়ার জীবন রক্ষা করেছিলেন এবং তাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন।

যারা জিয়াকে মুক্ত করে আনেন আর তাদেরকেই এখন আটক করে রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জিয়া আমাকে কোন সাক্ষাৎকার দেননি। এতে আমি বিস্মিত হইনি। কারণ, জিয়া কোন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাননি। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে ঢাকায় এক বিয়োগান্তক অপরাধ সংঘটিত হয়।

এ মামলার স্বল্প প্রত্যক্ষদর্শীদের আমি একজন। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুন আমি ঢাকার কেন্দ ীয় কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারাগারের অন্তরালে সেদিন তাহের ও তার সঙ্গীদের কথিত বিচার শুরু হয়েছিলো। যখন সকালে আমি সেখানে গিয়েছিলাম সেনাবাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে উপস্থিত ছিলো যেন তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিচার চলাকালে আমাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের কয়েকদিন পর আমাকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিচার সম্পন্ন হওয়ার কয়েক মাস পর জেনারেল মঞ্জুর আমাকে একটি বাতর্া পাঠান যে, তিনি তাহেরের বিচার ও ফাঁসি ঠেকাতে চেষ্টা করেও সফল হননি। যদিও সেনাবাহিনীতে পদমর্যাদার দিক থেকে তিনি ছিলেন তিন নাম্বার অবস্থানে। তখন আমি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে থাকতাম। সেনাবাহিনীর তৃতীয় সবের্াচ্চ অবস্থানে থেকেও তিনি অসহায় ও ক্ষমতাহীন ছিলেন।

যারা তাহেরের মৃতু্য চেয়েছিলো তারা সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারী হিসেবে মঞ্জুরকে চিহ্নিত করে। মঞ্জুর নিশ্চিত ছিলেন জিয়া ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাহেরকে এই তথাকথিত বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। জিয়ার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মকতর্া আমাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৬ সালে যা ঘটেছে তাকে কি বিচারকাজ বলা যায়? ট্রাইবু্যনাল গঠনের পূর্বেই ফাঁসির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিচারের নামে জোরপূর্বক এক সাজানো নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।

কারণ বিশেষ ট্রাইবু্যনাল-১ একবারই গঠিত হয়েছিলো। তারা আর কোন বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। বাস্তবে এই ট্রাইবু্যনাল ছিলো অবৈধ ও অসাংবিধানিক একটি আদালত। যার উদ্দেশ্য ছিলো বিচারের নামে হত্যাকাণ্ড ঘটানো। লিফশুলজ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আশা করা যায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অতীতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অবাধ, মুক্ত পরিবেশে ট্রাইবু্যনালের দেয়া তাহেরের দণ্ড পযর্ালোচনা করে দেখবে।

বাংলাদেশের সংবিধানে স্বীকৃত প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার নীতি বিবেচনা করা হবে। তথাকথিত ট্রাইবু্যনাল-১-এ যা উপেক্ষিত ছিল। লিফশুলজ বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি আগেই নিধর্ারিত ও সাজানো ট্রাইবু্যনালে তাহেরের ফাঁসির রায় বাতিলের যথেষ্ট কারণ ও যুক্তি রয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে তাহেরের বিচার কেবল বিরাট ভুলই নয় বরং রাষ্ট্রীয় অপরাধও বটে। এমন অপরাধের প্রতিকার রাষ্ট্রের সেই প্রতিষ্ঠানই করতে পারে যার ঐতিহাসিকভাবে অতীতের অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে।

আধুনিক যুগে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে জামর্ানি, আর্জেন্টিনা, চিলি, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমনটি ঘটেছে। বাংলাদেশে একমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান হলো সুপ্রিম কোর্ট, যারা এ কাজটি করতে পারে বলে লিফশুলজ মনে করেন। তিনি বলেন, তাহেরের সঙ্গে যাদের বিচার করা হয়েছে তাদেরকে পযর্াপ্ত আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। বিচারটি অবৈধ উপায়ে হয়েছে এবং অবৈধ উপায়ে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তা সম্পন্ন হয়েছে।

যে বিচারের কোন আইনগত ভিত্তি ছিল না। বিচারটি আইনসম্মতভাবে গঠিত কোন আদালতে হয়নি। এটি হয়েছে কারাগারের অভ্যন্তরে। যেখানে সংবাদ মাধ্যমকে বাইরে রাখা হয়েছে। যাতে এই অবিচারের কারণে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশিত না হয়।

সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া এবং দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায় তাহেরের অন্তিম বক্তব্য যদি পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতো তাহলে জনগণ কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতো? মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার যিনি স্বাধীনতা পরবতর্ী সময়ে অসামান্য অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন, তার এমন তথাকথিত গোপন বিচার কিভাবে আইনসম্মত বলা যাবে? লিফশুলজ বলেন, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে এক বড় ধরনের নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আপনারা (আদালত) যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন না কেন তার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য থাকবে। আমার বিবেচনায় তাহেরের এই মামলার একটি আন্তজর্াতিক গুরুত্ব রয়েছে। এই রিট মামলার আবেদনকারীরা বহু বছর ধরে এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।

এই দীর্ঘ পথযাত্রায় বহু নারী-পুরুষ দুঃসহ বিস্মৃতিপ্রবণ হয়ে গেছেন। মানব ইতিহাসে এমন দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার পর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা বড় দায়িত্ব। আজ যারা ন্যায়বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় ও তাদের প্রতি বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা প্রাপ্য। তিন দশকের পথ চলার সুষ্ঠু সমাপ্তি হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে।

আর সেই দায়িত্ব আদালতের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.