আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গবন্ধু নামের মর্যাদা



শুধু নির্মিতব্য এয়ারপোর্টই নয়, বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবির ব্যাপকতর ব্যবহার এবং অপব্যবহার দেখা গিয়েছে বিদায়ী বছরে। কিশোরগঞ্জে বাজিতপুরে খাল দখল করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে দোকান হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বানানে ভুল হওয়ায় দুই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পিরোজপুরের পারভিন জাহান ও সাতক্ষীরার পঞ্চানন বালা বরখাস্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু (যমুনা) সেতুর ফাটল আরো বেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ৩০ কোটি পিস দুই টাকার কয়েন বাজারে ছাড়া হয়েছে।

বছর খানেক আগে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ১,০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এখন কয়েক হাজার কোটিপতির দেশ বাংলাদেশ হলেও অজ্ঞাত কারনে এই নোট বিদায়ী বছরেও জনপ্রিয়তা পায়নি। বিদায়ী বছরের শেষ সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের প্রস্তাব দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার জন্য। একই ভাষণে তিনি এটিও বলেন, জাতীয় রাজনীতি অসুস্খ হয়ে পড়েছে। তিনি ঠিকই বলেছেন।

তবে এ রাজনীতির অন্তর্ভুক্ত তিনিই কি না তা বোঝা যায়নি। তবে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে বড় মরণোত্তর বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে। বিদায়ী বছরের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচারিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রে স্বাধীনতার ঘোষণা শিরোনামে মুদ্রিত হয় : স্বাধীনতার ঘোষণা “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে সেনাবাহিনীর দখলদারীর মোকাবিলা করার জন্যে আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ” [স্বাধীনতার ঘোষণা সংবলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাণীটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রচারের জন্যে ২৫শে মার্চ মধ্য রাত অর্থাৎ ২৬শে মার্চ ১৯৭১-এর প্রারম্ভে (তৎকালীন) ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছিল। ] এর মাত্র ১০ দিন পর ২৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র উওরণ (বানানটি হবে উত্তরণ)-এ প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয় : “… তারা অতর্কিতে ২৫ মার্চ তারিখে আমাদের আক্রমণ করলো। তখন বুঝতে পারলাম যে; আমাদের শেষ সংগ্রাম শুরু হয়ে গেছে। আমি অয়ারলেসে চট্টগ্রামে জানালাম বাংলাদেশ আজ থেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।

” জাতি জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোন ঘোষণাটি সঠিক। স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত মামলায় অভিজ্ঞ প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক হয়তো এই বিভ্রান্তির সমাধানে এগিয়ে আসবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.