আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৪০০ বছর পরেও হামজা (রাঃ) এর লাশ অক্ষত অবস্থায়!

অতীত এবং বর্তমানকে সাথে নিয়ে আগামীর সপ্ন দেখি । সময়ের সাথে আগামীর পথে -সদা নির্ভীক..

হযরত হামজা (রাঃ) ছিলেন একজন বীরযোদ্ধা। রাসুল (সাঃ) এর সম্পর্কে চাচা। সত্যের সাথে মিথ্যার যুদ্ধ উহুদের ময়দানে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে সুযোগ পেয়ে তারা মুসলমান শহীদদের লাশকে ছিন্ন ভিন্ন করতে লাগল।

তার নাক,কান কাটা হল। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা নিজে হামজাহ (রাঃ) এর পেট চিরে ফেললেন। (আবু সুফিয়ান ও হিন্দা উভয়েই পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) তার কলিজা বের করে চিবাতে লাগলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিলতে না পেরে তা ফেলে দিলেন। তাকে দাফন করা হয় উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে।

বেশ কয়েক বছর আগে (সাল তারিখ আমার জানা নেই) বন্যার পানিতে তার কবর খুলে গিয়েছিল। সেখানে সউদী সরকার তাদের লাশকে দাফন করার জন্য বড় বড় কিছু আলেমকে দাওয়াত করেছিলেন দাফন অনুষ্ঠানে। উক্ত আলেমদের মধ্যে একজন দাওয়াত পেয়েছিলেন তার নাম "মাহমুদ আস সাওয়াফ"। তিনি এগুলো অন্যদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন যে, আমরা যাদেরকে দাফন করেছি তাদের মধ্যে ছিল হযরত হামজাহ (রাঃ)এর লাশ। তার শরীর ছিল ক্ষত-বিক্ষত; নাক ও কান ছিল কর্তিত।

পেট ছিল চেরা। তার একটি হাত ছিল পেটের উপর। তিনি বলেন: আমরা যখন তার হাত নাড়াচাড়া করলাম দেখলাম যে, ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় তার থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল। এ ঘটনাটি অত্যধিক প্রসিদ্ধ একটা ঘটনা।

এ ঘটনা আল্লাহ তায়ালার সেই বাণীর সত্যায়ন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ অর্থাৎ, আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলিওনা; বরং, তারা জীবিত। অথচ, তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না। (সুরা আল বাকারা: ১৫৪)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.