আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্ধ্যার স্যুভনির

বিকট
* মেয়েদের হোস্টেল পার হয়ে যাবার সময় যুবকটির মনে হল অনেকদিন সে কোন রোমান্টিক মুহুর্ত কাটায়নি। যদিও তার শোকেসে একটা এ্যান্টিক রোমান্টিকতার স্যুভনির সাজানো আছে, এবং মহামূল্যবান সেই সংগ্রহের জন্যে সে গর্ববোধ করে, তবুও অনেকদিন ভালোবাসাহীন, স্পর্শহীন থাকাটা যাপিত জীবনের শর্তাবলীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় সে একটি নির্দৃষ্ট সময় পরে, আজকে কৃষ্ণচূড়ার গাছ বেষ্টিত মহিলা হোস্টেলটি পার হবার কালে কারো সঙ্গ পাবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। নরম, সুরেলা এবং ছটফটে। কিংবা কঠিন, বেসুরো এবং শান্ত। যেমনই হোক না কেন! যুবকটি তার পরিচিতাদের নম্বরে ফোন করতে শুরু করে, "হ্যালো!" "হ্যালো, কি খবর? এতদিন পরে?" "তুমি একটু বের হতে পারবে? আমি হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

" "ওহ, কিন্তু আমিতো সেখানে এখন আর থাকিনা!" "তাতো জানি! শোনো, আবার চলে এসো, আগের মত। আমাকে দশ মিনিট দেরী করিয়ে রাখবে, অধৈর্য্যভাবে পায়চারীরত আমাকে প্রবোধ দিতে তোমার সেই এলোমেলো তাড়াহুড়োয় ছুটে আসা হোস্টেলের ভেতর থেকে..." "কি বললে! আমি হোস্টেলের ভেতর থেকে আসবো?" "হ্যাঁ! আসতে চাইলে ওখান থেকে আসাই ভালো হবে। তোমার সুবিন্যস্ত ঘরের গতরাত্তিরের কামনার স্মৃতি বিজড়িত এলোমেলো বিছানা থেকে ক্লান্তির আরামদায়ক আবেশ নিয়ে জোর করে অবচেতনকে জাগ্রত করে তাকে ভ্যানিটি ব্যাগে করে নিয়ে আসাটা ঠিক হবেনা" "পছন্দ হয়েছে তোমার আইডিয়াটা। আসছি দাঁড়াও!" যুবতীর কন্ঠে চঞ্চলতা প্রকাশ পায়। যুবক খুশী হয়ে ফোন রেখে দেয়।

সে ভাবতে থাকে দেরী করে আসার ফলে যুবতী সচরাচর যেসব অজুহাত দিত সেগুলোকে নাকচ করে দেবার জন্যে কি কি বলা যায়! তার ভাবনাগুলো যখন জোড়া লাগছে, টুকরোগুলো যখন একটার সাথে আরেকটা মিলে যাচ্ছে সুন্দরভাবে, তখনই ফোনের শব্দে তা ব্যাহত বা আহত হয়, "হ্যালো!" "স্যার, বাসাত ডাকাইত পইরছে। ওরা আইসে কি জানি একটা খুঁজতিছে!" "কি খুঁজছে?" "আপনার শোকেসের ভিতর কি জানি একটা ছিলো কচ্ছে..." ডাকাতদলের একজন, যুবকের অনুগত ভৃত্যের কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে বলে, "তর সেই এ্যান্টিক রোমান্টিক স্যুভনিরটা কই রাকচোচ? আমরা ঐটা নিতে আইচি। বেশি না কচলায়া কয়া দে তাত্তাড়ি, নাইলে তোর চাকরটার গলায় চাক্কু হান্দায়া দিমু" ওপাশ থেকে আমার চাকরটা এতক্ষণের ভয় ঝেরে ফেলে জোড়ালো কন্ঠে আশাবাদ দেয় যুবককে, "আমাক মাইরে ফেললিও আমি স্যারের অবাধ্য হতি পারবোনানে, তুমরা যা কইরবের পারো কর, স্যার আপনি চিন্তা করবেননানে" সুতরাং যুবক ভরসা পেয়ে ফোনটা রেখে দেয়। আপাতত ওটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা না করলেও চলবে। -কতদূর তোমার? সে যুবতীকে ফোন করে সুধোয়।

-এইতো এসে গেছি! যুবক দেখতে পায় রিকশায় করে পৃথুলা এক রমণী আসছে, সেই যুবতী, যার বর্তমান মুখে লেপটে আছে অতিশয় গেরস্থপনা সম্বলিত একটা সুখী হাসি। রিকশা থেকে নামতে গিয়ে অনেকদিনের অনভ্যস্ততার কারণে সে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। -এক্সকিউজ মি! যুবকের কাছে যায় সে। -হু? -একটু সরুন, আমি ভেতরে যাবো। -ওহ শিওর! যুবক সরে দাঁড়ায়।

যুবতী ভেতরে ঢুকে গেলে যুবক আবার ফোন করে তাকে। -ঢুকতে পেরেছো তো ঠিকমত? -হ্যাঁ, পেরেছি, কিন্তু হলের ভেতর যেতে দিচ্ছেনা দাড়োয়ানটা। আমি আমার রুমে যাবো কিভাবে! সাজুগুজু করব কিভাবে? তোমাকে দাঁড় করিয়ে রাখব কিভাবে! আমার অজুহাতগুলো শুনে তোমার রাগত প্রতিক্রিয়া দেখে চপল হাসিতে ভেঙে পড়ব কিভাবে! বদ দাড়োয়ানটা! এরইমধ্যে যুবকের ফোনে আরেকটা কল আসে। দুস্কৃতিকারীগণ! -তহন ভালোমত কৈচিলাম হুনোচনাই, অহুনতো ঠিকই পায়া গ্যালাম। লাভটা হৈলো কি? মাঝখান থিকা তর চাকরটারে কুপাইলাম! -কি! খবরদার... রাগে যুবকটির কথা জড়িয়ে যেতে থাকে।

-হুদাহুদি চেইতা লাভ কি? তয় চিন্তার কিচু নাই, গলায় হালকা কৈরা একটা পোচ দিছি খালি। সিলাই করলেই ঠিক হয়া যাইবো। অনুগত ভৃত্য আহত অবস্থায়ও, গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায়ও গরগর শব্দে গোঁ ধরে থাকে, প্রতিবাদ করার এবং হুমকি দেবার চেষ্টা করে। এতে ডাকাতের দল আরো উল্লসিত হয়ে হুল্লোড় করতে করতে স্যুভনিরটা নিয়ে চলে যায়। হতবিহবল যুবক ফোন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।

-এক্সকিউজ মি! একটু সরে দাঁড়ান, আমি চলে যাবো। -শিওর! যুবকের চমক ভাঙে। সে যুবতীকে জায়গা করে দেয় চলে যাবার। সপ্তাহান্তটা এভাবে হন্তারক কর্তৃক লুন্ঠিত হওয়ায় দুজনের মধ্যেই বিরক্তি সংক্রামিত হয়। * যুবক আবার তার ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

খোঁজে পরিচিতা অথবা অপরিচিতাদের। যুবতীদের এই আবাসস্থলে যুবকটির পরিচিত কেউ না থাকা স্বত্তেও যুবকের ভ্রুক্ষেপ নেই। সে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছে হেলান দিয়ে ফোনের নাম্বার প্যাডকে ব্যস্ত রাখে। -এক্সকিউজ মি! আবারও সেই যুবতীর আগমণে যুবকের বুক এক মুহুর্তের জন্যে আশাবাদী সংকেত দ্বারা উদ্বেলিত হলেও পরিস্থিতি বুঝে নিমিষেই সে সামলে নিয়ে মুখে প্রয়োজনীয় গাম্ভীর্য এঁটে নেয়। -আপনি আবার...কি হয়েছে বলুন? -আমার খোঁপার কৃষ্ণচূড়া ফুলটা পড়ে গেছে।

ওটা নিতে এসেছি। আপনিতো ওটাকে আরেকটু হলেই প্রায় মাড়িয়ে দিয়েছিলেন! যুবতীর কন্ঠে ক্ষোভ প্রকাশিত হয়। -স্যরি! নিয়ে যান আপনার খোঁপার ফুল। যুবতীটি তার খোঁপায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ফুলটা গুঁজতে থাকলে যুবকের মনে প্রশ্ন জাগে, -এখানেতো অনেক ফুল আছে...আপনি এই দোমড়ানো ফুলটাই কেন নিচ্ছেন? -আমার এটাই দরকার, বুঝেছেন? যুবক বুঝতে পারে, অথবা পারেনা, বোঝার চেষ্টা করে অথবা করেনা। সে আবার ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

যুবতীটি কিছুদূর যাবার পরে হঠাৎ কি মনে করে পিছু ফেরে। যুবকের দিকে তাকায়। -কি খুঁজছো এখানে দাঁড়িয়ে? what are you searching for? -Nothing, nobody. -Well, then you will found nobody as I have got somebody! মানুষের খুঁজে নেবার ক্ষমতা অসাধারণ। ভুলে যাবার মতই। -নাকি মানুষ ভুলতে পারেনা বলেই খুঁজে নেয়? যুবকের এহেন দার্শনিক প্রশ্নে যুবতী অপ্রতিভ হয়ে পড়ে, সে এড়িয়ে যেতে চায়।

-এ্যাই রিকশা যাবা? সোজা যাও। সোজা সোজা সোজা সোজা সোজা সোজা যাও... সে সোজাপথ ধরে চলে যায়। * যুবকের মাথার ভেতরে যুবতীর কথাগুলো ঘুরতে থাকে, চলতে থাকে জাল বুনতে থাকে, আবাসস্থল তৈরী করে নেয়... "you will find nobody!' যুবক ফোনের বাটন টিপতে থাকে। এবং কোন এক অজানা এলোমেলো কাকতালীয় তরঙ্গবার্তার মাধ্যমে মহিলা হোস্টেলের ভেতরের একজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সমর্থ হয়। সে কিছুক্ষণ পরই চলে এসে যুবকের দীর্ঘ রোমান্সহীনতার শূন্যস্থানকে ভরিয়ে দেবার আশ্বাস দেয়।

সে কে, কি, তার নাম, কোথায় তার সাথে পরিচিয় হয়েছিলো, নাকি এভাবেই কোথাও পরিচিত হবার কথা ছিলো যুবক ভেবে চলে, হদিশ পায়না। হয়তোবা সে তার অনেকদিনের চেনা, হয়তোবা 'কেউনা!' -কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছো? যুবক তাকায় তার নতুন সঙ্গীনির দিকে। এতক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। অন্ধকারের স্পর্শে তার নেকাবে ঢাকা মুখ রহস্যময় লাগে তার কাছে। কে সে! হয়তোবা বিশেষ কেউ, হয়তোবা কেউ না।

তাতে কিছু এসে যায়না। -চল লেকের ধারে গিয়ে বসি। -চল! তারা একটি ট্যাক্সি ক্যাবে উঠে বসে। -কই যামু? -যাও! আঁকাবাঁকা পথে এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে সর্পিল গতিতে চলতে থাকে তারা। এবড়ো থেবড়ো পথে উন্মত্ত চালকের অসতর্ক চলনে ঝাঁকি খেতে থাকে তারা, নেকাবআবৃতা অন্ধকারময়ীর জানলা গলে প্রায় পড়ে যাবার উপক্রম হয়।

"আরো জোরে চালাও!" আসন আঁকড়ে ধরে সোল্লাসে চেচিয়ে ওঠে যুবক। "হ্যাঁ, জোরে, জোরে, জোরে!" জানলার প্রান্ত ধরে ঝুলে থাকা 'কেউ' অথবা 'কেউনা' গলা মেলায় যুবকের সাথে। "উক্কে স্যার!" চালক ঝড়োগতিতে চালাতে থাকে ক্যাব। যুবকের চোখের তারায় হাজার তারা জ্বলে ওঠে। গাড়ি থেকে ছিটকে বের হয়ে যাওয়া কেউ অথবা কেউনা জানলা থেকে হাত ফসকে গেলে কি মনে করে সজোরে যুবকের বুকপকেট খাঁমচে ধরে, পরক্ষণেই তা ছেড়ে দেয়।

সে চলে যায়, উড়ে যায়, পড়ে যায়, উঠে যায়! 'টাট্টা!' 'টাট্টা! ভালো সময় কাটলো তোমার সাথে। ' কেমন যেন ঠাট্টার মত শোনায় কথাগুলো! * হ্রদের ধারে চলে আসলে যুবকের মনে হয় এখনও রাত বেশি হয়নি, আরো কিছু সময় কাটানো যায় এখানে। কেউ আসুক বা না আসুক! কেউনা আসুক! কিছু এসে যায়না। অবশ্য কেউ না এসেই বা করবে কি। অথবা বলা যায় 'কেউনা' এসেই বা করবে কি! দুটি বাক্যের গঠনগত মিল কিন্তু অর্থগত অমিলে যুবক আশ্চর্য হয়, কিন্তু এটাকেই সত্য এবং স্বাভাবিক বলে মেনে নেয় সে।

হ্রদের ধারে পূর্ণ চাঁদের আলোয় যুবক যুবতীদের মেলা। অসংখ্য তুমি, তুমি, তুমি এবং কেউনা যারা হাজিরা দিতে এসেছে রোমান্স ইকুইলিব্রিয়াম বজায় রাখার তাগিদে। সবার মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হ্রদের পানিতে অদ্ভুত কিছু একটার সন্তরণে। অদ্ভু্ত এক প্রাণী! তরতর করে সাঁতরিয়ে চলেছে। ওটা আবার কেমন মাছ! এত দ্রুত চলছে, পানির এত ওপর দিয়ে! নাহ এটা মনে হয় মাছ না, সাপ।

কিন্তু সাপ কি এত ছোট হয়? তবে কি অজানা কোন সরিসৃপ? "চাঁদের আলোয় অনেক বিভ্রম সৃষ্টি হয়। কে কাকে চিনতে পারে বল! হয়তোবা কোন বিষধর সাপ, হয়তোবা কোন অজানা সরিসৃপ, বা গোবেচারা বোকা মাছ খাবি খাচ্ছে, অত চিনে কি হবে বল!" যুবকের কাঁধে হাত রাখে একজন। নারীস্পর্শ পেয়ে যুবকের শিরদাঁড়ায় শিরশিরে শিহরণ বয়ে যায়। -কে! -কেউনা! -ও আচ্ছা! চল ওখানটায় বসি। * চমৎকার একটা রোমান্টিক সন্ধ্যা কাটিয়ে যুবক বাড়ি ফেরে।

তার মন ছিলো ফুরফুরে, হালকা এবং তরল। বৃদ্ধ ভৃত্যের কাটা গলা দিয়ে তখনও রক্ত পড়ছিলো। যার প্রবাহমনতায় একসময় যুবকের পায়ের পাতা ভিজে যায়। সে এবার ক্রুদ্ধ এবং হিংস্র হয়ে ওঠে। -তোমারে রাখছি কিজন্যে এইখানে? আমার শখের স্যুভনিরটা নিয়া গ্যালো তুমি কি করলা! অহন গলা কাইট্যা ল্যাবড়ায়া পৈড়া আছো, আমার জিনিসটাও হারাইলো আবার তোমার চিকিৎসার পিছনেও যে কত খরচ হৈবো গড নৌজ!" -আমি সাধ্যমত চিষ্টা করিছি স্যার।

আপনিতো জানেন আমি বাইচে থাকতি আপনার অবাদ্য হবোনানে, সে সাইধ্যই আমার নেই। -আরে ধুরো বুড়ো! তর বাধ্যতার নিকুচি করি। সে বৃদ্ধের চিরে দেয়া গলায় পারা দিয়ে ক্ষতস্থানকে আরো প্রশস্ত এবং রক্তাক্ত করে তোলে। বৃদ্ধ ভৃত্য অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। যুবকটি উপভোগ করে সে দৃশ্য।

আয়েশ করে সোফায় বসে গা এলিয়ে দেয়। তার ঘুম চলে আসে। * ঘুমের মধ্যে যুবক ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে। পৃথুলা সেই যুবতীর হিসহিসে কন্ঠ, "at last you have found somebody, huh? or nobody?" হ্রদের জলে ডুবে যেতে যেতে অসংখ্য সরিসৃপ সাপ এবং অদ্ভুত জলজ প্রাণীর দংশন এবং বেষ্টন। সে হাঁসফাঁস করে ওঠে।

তাকে উদ্ধার করতে আসে কেউ, অথবা কেউনা! চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে ওঠে সে। এখনও তার অনুগত বৃদ্ধ ভৃত্যের গলা দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েই চলেছে। তবুও সে বিড়বিড় করে আশ্বাস দেয়, "চিন্তা করবেননা স্যার, আমি ওইডে যে কইরেই হোক ফিরায়ে আনবো" যুবক আশ্বস্ত হয়, এবং ঘুমিয়ে পড়ে আবার। পরদিন সকালে তড়িঘড়ি করে সে ঘুম থেকে ওঠে। বৃদ্ধ ভৃত্যটিকে হাসপাতালে নিতে হবে, হারিয়ে যাওয়া এ্যান্টিক রোমান্টিক স্যুভনিরটার জন্যে জিডি করতে হবে থানায়।

যদিও তাতে লাভ হবে বলে মনে হয়না। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি! *ছবি কৃতজ্ঞতা, ব্লগার অপলক
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।