বার্তা২৪ ডটনেট: ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি : ইভ টিজিংয়ের পরিবর্তে যৌনহয়রানি শব্দটি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারীকে উত্ত্যক্ত করাকে ইভ টিজিং বলে বিবেচনা করা হলে অপরাধের মাত্রা হালকা হয়ে যায় বলে উল্লেখ করে আদালত এই নির্দেশ দেন। সেই সাথে, আদালত নারীদের উত্ত্যক্তমূলক হয়রানিকে যৌনহয়রানি হিসেবে বিবেচনা করে আইনে অন্তভুক্ত করারও নির্দেশ দেন। আজ বুধবার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। গত বছর ২ নভেম্বর মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ ফাহিমা নাসরিন এ সংক্রান্ত একটি রিট দায়ের করেন।
এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন। এব্যাপারে ফাহিমা নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের ফলে ইভ টিজিংয়ের শিকার নারীরা আইনের সুরক্ষা পেল।
আদালত এসএমএস, এমএমএস, ইমেইল ও মোবাইলের মাধ্যমে উত্যক্ত করাকেও অপরাধ হিসাবে গণ্য করে যৌনহয়রানি প্রতিরোধ আইনে এ বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন এবং দেশের সকল সাইবার ক্যাফের নিবন্ধন ও ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেন। প্রতিটি থানায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ তদারকি করতে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে বলেছেন আদালত। নির্দেশে বলা হয়, এই মনিটরিং সেল প্রতি মাসে একবার জেলা উন্নয়ন কমিটিতে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
.........................................................
উপরের নিউজটি পড়ে মনে হলো---ইভটিজিং প্রতিরোধে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। কিন্তু, এর বাস্তবায়ন কতটা হবে। কিভাবে যাচাই বাছাই করবো—যে কোন বিশেষ ব্যক্তিই কোন নারীকে ইভটিজিং করছে। এজন্য বিষয়গুলো যাতে যথার্থভাবে প্রয়োজন করা হয় সেই পরিবেশটাও তৈরী করা উচিত। ন্ইলে—আদালতের এই রায়কে নিয়ে অনেকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারেন।
সেজন্যই বলা সাধু সাবধান। তবে এটা বলতেই হয়। যেভাবে সারাদেশে ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতা বাড়ছে তাতে আর এ রোগটি ছড়াতে পারবে না। আর এটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য এখন থেকেই সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
.................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।