জনগণ মনে করে রাজনৈতিক দলগুলোর সব দুর্নীতির সঙ্গে যোগসাজশ আছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্নীতির প্রবণতা বেশি। রাষ্ট্রীয় বড় দুর্নীতির সঙ্গেও রাজনৈতিক দলের যোগসাজশ রয়েছে। টিআইবি মানুষের মতামত নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ প্রতিবেদন বিবেচনায় নেওয়া।রাজনৈতিক দল বলতে বাংলাদেশের সব দলগুলোকে নির্দেশ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাধারণ মানুষ জানে, কোন দলগুলোকে নির্দেশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১০৭টি দেশে একই বিষয়ে একই সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআই। জরিপে দুর্নীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলেছে। আবার দুর্নীতির ধারণা থেকেও বলেছে। দুটি বিষকে সমন্বয় করেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে উত্তরদাতারা বলেছে ২০১০ তুলনায় ২০১২ সালে দুর্নীতির প্রবণতা কমেছে।
সেবা খাতে যারা সরাসরি সেবা গ্রহণ করেছে ২০১২ সালের অভিজ্ঞতা ২০১০ সালের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। আবার ধারণা ভিত্তিতেও উত্তর দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু, হলমার্ক ইত্যাদি বিষয়ে ধারণার ভিত্তিতে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ও বিচার বিভাগের দুর্নীতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আইনমন্ত্রীও দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন কয়েকবার।
এ ছাড়া পুলিশে দুর্নীতির সুযোগ অনেক বেশি। পুলিশ বিভাগে রাজনীতিকরণ অনেক বেশি হয়েছে। তাই কোনোভাবেই দুর্নীতি থেকে বের হতে পারছে না। সরকারও পুলিশ বিভাগে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করে না। বেতন ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সরকার চিন্তা করে না।
ফলে পুলিশ বিভাগ খুবই উদ্বেগজনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের দুদকের প্রতি যে আস্থা ছিল সেটা তারা রক্ষা করতে পারেনি। দুদকের অনেক বাহ্যিক সিদ্ধান্ত বাইরে থেকে আসে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তারা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করা যাচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।