বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসহ ১৩টি সেবা খাতের দুর্নীতি বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জরিপের প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, টিআইবির প্রতিবেদনে ব্যক্তিবিশেষের দায়ে সমগ্র বিচারব্যবস্থাকে যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, তা যুক্তিযুক্ত হয়নি। আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ জরিপের ফলাফল প্রকাশকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন। পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয় দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ জরিপের প্রতিবেদন প্রস্তুতকারীদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন(সুত্র-কালের কন্ঠ)
১। ১৯৯৬-২০০১(আওয়ামীলীগের শাসন)-টি আই বি প্রথম বাংলাদেশকে শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বলে উল্লেখ করে।
আওয়ামীলীগ এর প্রতিবাদ করলেও,বিএনপি এই তথ্য নিরবাচনী প্রচারনায় কাজে লাগায়।
২। ২০০১-২০০৬(জোট সরকারের শাসন)-টি আইবি রিপোর্ট অনুযায়ি। এই সময়ে বাংলাদেশ আরো চারবার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বিএনপির মন্ত্রীরা বিশেষ করে ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা তিব্র ভাষায় টিআইবির জরিপ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন।
স্বভাবতই আওয়ামীলীগ সে রিপোর্ট দারুনভাবে লুফে নেয়।
৩। ২০০৮-(মহাজোটের শাসন)-টিআইবির রিপোর্ট এবং মহাজোটের প্রতিক্রিয়া শুরুতেই বলা হয়েছে।
প্রশ্ন হল,টিআইবির রিপোর্টের আদৌ কোন দাম আছে?যদি নাই থাকে তবে এটাকে এত গুরুত্বের সাথে নিয়ে সমালোচনা করার কি আছে?আর যদি গুরুত্ব থেকেই থাকে,তবে রাজনীতিবীদরা দুমুখো সাপের মত তার গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে একেকবার একেক কথা বলেন কেন?কেন সরকারে গেলে এক আর বিরোধী দলে গেলে একই জিনিষ নিয়ে দুরকম কথা বলেন?
তারা কি আয়নায় নিজের চেহারা দেখেননা?নাকি রাজনীতিতে লজ্জা শরম বলে কিছু থাকতে নেই,স্বার্থটাই বড় কথা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।