WOW Great news ....
They feel shame...
মানহানির মামলায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান এম হাফিজউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে কুমিল্লার একটি আদালত।
রোববার এক আইনজীবী মামলা দায়ের করার পরপরই কুমিল্লার বিচার বিভাগীয় জ্যেষ্ঠ হাকিম আদালতের বিচারক গাজী সাইদুর রহমান পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেয়।
বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি জরিপকে কেন্দ্র করে এ মামলাটি করেন কুমিল্লার আইনজীবী মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টিআইবির জরিপ প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে সেবাখাতের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানোয় বিচার বিভাগের মান মর্যাদা এবং সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে বাদির সম্মানহানি হয়েছে।
মামলায় টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজ ছাড়াও নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও গবেষক ওয়াহিদ আলমকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, "বিচার বিভাগের একজন কর্মী ও অংশ হওয়ায় টিআইবির প্রকাশিত রিপোর্টের কারণে বাদির পেশাগত সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে। আদালতে এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
"
সেবা খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে গত গত ২৩ ডিসেম্বর খানা (পরিবার) জরিপের ফলাফল জানায় টিআইবি। এতে বলা হয়, সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগে দুর্নীতি বেশি হয়। ঘুষ লেনদেন বেশি হয় উচ্চ আদালতে।
৬৪টি জেলার ৬ হাজার খানার ওপর গত বছরের জুন থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয় বলে টিআইবি জানায়।
জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, জরিপের ফলাফলের চেয়ে দেশে দুর্নীতির আসল চিত্র আরো প্রকট।
তবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী টিআইবির এ জরিপের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ শনিবার বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন তথ্যভিত্তিক নয়। এর সারবস্তুও নেই।
টিআইবির প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামও। তিনি অভিযোগ করেছেন, এর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
টিআইবির জরিপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্নীতির চিত্র প্রত্যাখ্যান করে পুলিশ উল্টো জরিপকারীদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।