ভক্ত-দর্শকদের সঙ্গে মেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পছন্দ। যে কারণে প্রথম হয়েও সেজান লিঙ্কনের ডিজাইন করা জার্সি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানদের গায়ে চড়ছে না। সে সৌভাগ্য হচ্ছে বিসিবি ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জার্সি উৎসবে তৃতীয় হওয়া হাবিবুল্লাহ আল ইমরানের। বিচারকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও এসএমএস ভোটে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন রাজশাহীর এ তরুণ। পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসার ‘লাইফলাইন’ অবশ্য ছিল।
গত ৪ ডিসেম্বর ‘গ্র্যান্ড ফিনালে’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিসিবি কর্মকর্তাদের চোখেও যে সেরার মর্যাদা পেয়েছিল তাঁর ডিজাইন করা জার্সিই।
ইমরানের মতো আরো অনেকেই বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ জার্সির গর্বিত ডিজাইনার হওয়ার আকাক্সক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রতিযোগিতায়। মোট ৪২৩৮টি ডিজাইন জমা পড়েছিল। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে এক শটি বেছে নেওয়ার পর বিচারক প্যানেল চূড়ান্ত করে পাঁচটি ডিজাইন। যে প্যানেলে ছিলেন গাজী আশরাফ লিপু ও আতহার আলী খানের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বও।
অবশ্য প্রতিযোগিতার পর পুরো বিষয়টাই দেখভাল করেছেন বিসিবির সহ-সভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলম। তাঁর কাছ থেকেও সবচেয়ে বেশি মার্কস পেয়েছেন ইমরান, ‘ক্যামেরায় ও টেলিভিশনে কোন জার্সিটা বেশি ভালো দেখা যাবে এবং ফুটবে, এসবও দেখার ব্যাপার। সব দিক থেকে আমাদের বিবেচনায় প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়া ডিজাইনারের জার্সিটাই সেরা মনে হয়েছে। ’
কিন্তু প্রতিযোগিতার বিজয়ী তো আরেকজন। এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাজ্জাদুল, ‘গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের চুক্তিতে এমন কিছু ছিল না যে প্রথম হওয়া ডিজাইনারের জার্সিই বিশ্বকাপে ব্যবহার করতে হবে।
সত্যি বলতে কি, ওই পাঁচটি ডিজাইনের যেকোনো একটি বেছে নেওয়ারও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও এখান থেকেই নেওয়া হচ্ছে আমাদের বিশ্বকাপ জার্সি। ’ অবশ্য বিসিবির সামনে বিকল্প পথও খোলা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘ইংল্যান্ডের এসএস কম্পানিও একটি সুন্দর ডিজাইন প্রস্তাব করেছিল। তাদের দিয়েই জার্সি বানিয়ে আনতে চেয়েছিলাম আমরা। তবে দুই দফায় সব জার্সি এসে পৌঁছাবে ফেব্র“য়ারির শেষ নাগাদ।
তত দিনে বিশ্বকাপও শুরু হয়ে যাবে। এ কারণেই আপাতত আমরা বিকল্প চিন্তা বাদ দিয়েছি। জার্সি উৎসবের জার্সিই বিশ্বকাপে পরবে আমাদের ক্রিকেটাররা। ’
সাকিব-তামিমদের গায়ে নিজের ডিজাইন করা জার্সি দেখে অন্য রকম ভালো লাগায় ডুবে যাবেন জানিয়ে ডিজাইনার ইমরান অভিযোগও করেছেন। সেটি জার্সি উৎসবের ব্যবস্থাপনাগত দিক দেখাশোনার দায়িত্ব পাওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে, ‘মার্কেট অ্যাকসেসের এসএমএস ভোটের প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ ছিল না।
প্রতিযোগীরা কে কত ভোট পেয়েছে, তা তারা জানায়নি। এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এসএমএস আহ্বান করার সময়ও আমার পরিপূর্ণ ডিজাইন উপস্থাপন করা হয়নি। ট্রাউজারের যে ডিজাইন আমি করেছিলাম, সেটির ছবি বিজ্ঞাপনে দেওয়াই হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।