পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
আজ ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নাম ঘোষনা করা হলো। তেমন চমক না থাকলেও দুটো ঘটনা নিয়ে বেশ হৈচৈ হচ্ছে। হবার ও কথা।
১) মাশরাফির জায়গা না হওয়া।
(আমি পক্ষে)
২) আশরাফুল। (আমি বি পক্ষে)
---
এবার বিশ্লেশন করা দরকার।
১) বাংলাদেশ দলের বিগত সাফল্যের দিকে তাকালে সেখানে পেজবোলারদের অবদান তেমন উল্ল্যেখ যোগ্য নয়। কারন, যতযাই বলি না কেন চির সত্য যেটা সেটা হচ্ছে- আমাদের পেজবলার গুলো অত উচ্চমানের পর্যায় পরে না। যার কারণে অনেক ম্যাচের অপিনিং বোলিং ও আমাদের আ. রাজ্জাক কে দিয়েই করানো হয়।
পেজ আক্রমন করে ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা ইংগল্যান্ডের সাথে পেরে উঠা কঠিন হবে। তাছারা উপমহাদেশের যেই পিচ তাতে পেজবলার আরো বেশি অকার্য হয়ে পরবে।
আমাদের মুল চালিকা শক্তি স্পিন বোলার, তারা যদি সাকসেস হতে পারে তাহলে আমরাও ভাল রেজাল্ট কর্তে পারবো।
২) মাশরাফি ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন। তবে এটাকে কেহ সচিন টেন্ডুলকার কিংবা মাইক হাসির মত ইনজুরির সাথে মেলালে ভুল করবেন।
কারণ, তারা দুজনই ব্যাট্সম্যান, আর মাশরাফি বোলার। হালকা গায়ে ব্যাথা নিয়ে কীংবা জ্বর নিয়ে ব্যাটিং করা গেলেও তা নিয়ে বোলিং করা সম্ভব নয়। তার চেয়েও বড় কথা, শচিন- হাসি মাঝে মাঝে ইনজুড হোন আর আমাদের মাশরাফি মাঝে মাঝে সুস্থ হোন।
তাকে নিয়ে দল গঠন করা হলে দলে একজন বোলার কমে যেত। যার ফলে কি হত?? আল্লায় না করুক প্রথম ম্যাচেই যদি মাশরাফি বল করতে নেমে ইনজুড হয়ে যেত তা হলে সারা বিশ্বকাপ জুড়েই আমাদের কত না কষ্টকরতে হত।
মাশরাফিও বকা খেতেন নির্বাচকদের তো খবরই ছিল!!
মনে রাখতে হবে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালের পাকিস্তান ৩১৯ করেও আকিব জাভেদ হাতে ইনজুড়ি হওয়ায় মেচ হেরে যায়। সেহেতু পরিপুর্ন ফিট প্লেয়ার ছারা দল নিয়ে মাঠে নামা কখনোই ঠিক হবে না।
--- নিজদেশে বিশ্বকাপ চান্স না মিলায় মাশরাফির চোখের পানি সবার হৃদয়কেই ছুয়ে যাবে। কিন্ত ব্যাক্তির চেয়ে যে দল বড় সেটা ভেবেই সবার শান্তনা নিতে হবে।
একটি কথাঃ মাশরাফি যেন আবার নাটক করে অবসরের কথা না বলে ফেলে সেদিকেও সবার নজড় রাখতে হবে।
আরেকটি কথাঃ মাশরাফিকে দেশের সবাই ভালবাসে। সে যে সম্পুর্ন ফিজিকাল ফিট নন সেটা জেনেই তার উচিৎ ছিল নিজেকে মনে মনে ১৫ জনের বাহিরে রেখে কল্পনা করা, এতে তার মানষিক অবস্থা এতটা ভেংগে যেত না।
---
২) আশারফুল আশরাফুল এখন সবার চক্ষুশূল। তারপরও নির্বচকগণ বার বার করেন ভুল আর দর্শকরা ছিড়েন তাদের মাথার চুল। এবার যদি ভাল কিছু করতে পারেন তবে আবার হবেন আশারফুল নয়ত বা পড়তে হবে কানে দুল।
আশরাফুল মুলত হচ্ছেন, বোতলের ভুত কিংবা চেরাগের দৈত্ব। এবং চেরাগের মালিক হচ্ছেন ক্রিকেট বোর্ড। তারা চেরাগে এত ঘষে যাচ্ছেন তবুও দৈত্ব বেরুচ্ছে না। এতে বোর্ডের কর্তাদের কিই ই বা করার আছে। আবার দৈত্বও কিছু কর্তে পারছেনা বলে আশরাফুলও অভিযোগ করছে বোর্ডকর্তারা ঠিক মত চেরাগে ঘষতে পারছে না।
যাইহোক, চালে ডালে মিলে গেলে আর কি করার? একটা একটা করে ত আর বাছা যাবে না তার চেয়ে ভাল একসাথে খুচুড়ি রান্না করেই খাওয়া ভাল। যা আছে আমাদের তা নিয়েই ঝাপিয়ে পরতে হবে, ফেলানি হত্যার প্রতিশুধ নিতে যে হবেই!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।