মাঝে মাঝে মনে হয় বেরিয়ে পড়ি 'একতারা'টা হাতে নিয়ে......"দরবেশ বানায়া দাও মাওলা.........দরবেশ বানায়া দাও। । । "
লন্ডন ওভারগ্রাউন্ড এর ষ্টেশন এ কাজ করি হিসেবে অনেক ধরনের আইটেমই আমাদের হাতে আসে লস্ট প্রপার্টি হিসেবে। লোকজনের ফেলে যাওয়া শপিং, ওয়ালেট, মোবাইল, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, আইডি কার্ড, ওয়েস্টার কার্ড (লন্ডন ট্রেন নেটওয়ার্কে ট্রাভেল এর জন্য এক ধরনের স্মার্ট কার্ড...হংকং এ একই জিনিস কে সস্ভবত অক্টোপাস কার্ড বলে) হচ্ছে খুবই কমন আইটেম আমরা পাই লস্ট প্রপার্টি হিসেবে।
প্রতি সপ্তাহে এগুলো আবার রেজিষ্টার এন্ট্রি, ট্যাগিং করে পাঠাতে হয় আন্ডার গ্রাউন্ডের একটি স্টেশানে (বেকার স্ট্রীট) যেখান থেকে লোকজন প্রপার আইডি দেখিয়ে এগুলো কালেক্ট করতে পারে। একটা সময়ের পরে আন-কালেক্টেড আইটেম গুলো অকশানে দেয়া হয়।
যেটা বলার জন্য এই পোস্ট; কমন আইটেম গুলোর সাথে আমরা মাঝে মাঝে খুব আন কমন কিছু আইটেমও পাই লস্ট প্রপার্টি হিসেবে। যেমন কিছুদিন আগে পেয়েছিলাম সাইকেল। বুঝিনা লোকজন কি করে সাইকেলের মত জিনিস ভূলে ফেলে যায়!!! তবে গত পরশু যেটা আমাদের কাছে লস্ট প্রপার্টি হিসেবে এসেছিল সেটা ইউনিক........ আস্ত একটা কুকুর এক পেসেঞ্জার ট্রেনে মালিক বিহীন অবস্থায় পেয়ে আমাদের কাছে দিয়ে যায় লস্ট প্রপার্টি হিসেবে।
কি আর করা, গলায় কোন চেইন-তেইন ছাড়া এই ডগি কে এইবার আমরা সারাদিন আমাদের স্টাফ মেসরুমে বন্দি করে রাখলাম। দিনশেষে পরিত্যাক্ত এ্যানিমেল কালেকশান সংস্থার লোকজন এসে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। আমাদের এক কলিগ এটাকে খুব আদর করছিল দেখে সবাই মিলে এবার একে টিজ করা শুরু করলাম, " ইউ সাপোজ নট টু ব্রিং ইউর ফ্যামেলি মেম্বার টু ওয়ার্ক!!!!"।
কিউটি ডগি'টার কিছু ছবি দিলাম। ।
। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।