পরে আর বলা হলনা !
এই লেখার সূত্রপাত ষড়জ এর “ আমার প্রতিবাদের ভাষা: ...... প্রতিবাদ করুন থেকে।
লেখাটির তথ্যসূত্র নিয়ে একজন প্রশ্ন তুললেও আমি লেখাটির বিশ্বাসযোগ্যতায় মোটেও সন্দেহ করিনা। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে শেখ মিনহাজ হোসেন এর “আজকে প্রথম আলো ...... প্রতিবাদ করতে হবে” সামনে এসে গেল।
তবু নিছক প্রতিবাদে উৎসাহ নেই। বড়জোর দেশীয় শিল্পীসংখ্যা বাড়বে।
দেশজ সংস্কৃতি, মাটি ও মানুষের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও আকাঙ্খার প্রকৃত প্রতিফলন কিছুই হবেনা। কারণ লোটা আর মহাপূঁজরা থেকেই যাবে। তাদের পেছনের গডমাদারের কথাও কে যেন বললেন। তিনিও বা কলকাঠি কতটা নাড়ছেন? সমস্যার শেকড় অনেক গভীরে এবং অনেক দেরীও হয়ে গেছে। বর্গিরা বীজ বুনে গেছে।
আজ তা বিষবৃক্ষ হয়ে শুধু ফল না, বংশও বিস্তার করছে।
৪৭ এর দ্বিজাতিতত্ত্ব ৫২ তেই প্রত্যাখান বাঙালীর। কারণ জিন্নাহ'র "একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা"। অথচ ৪৭ এ দ্বিজাতিতত্ত্বই তখন একমাত্র সমাধান ছিল আমাদের পূর্বসূরীদের কাছে। ৫২'র পথ ধরে ৭১।
কিছুদিন যেতে না যেতেই অনেকেরই আক্ষেপ "আগেই ভাল ছিলাম"। তারপর ৭৫ থেকে ৭৯'র রক্তাত ইতিহাস। আমরা দেখিনি , শুনেছি। শুনেছি অনেক ভাবে, অনেক রঙ এ। তারপর আশির দশক , ৯০,৯৬,২০০১, ১/১১ আর ২০০৮ আমাদের চোখের সামনেই।
তাই পুরোনো অনেক রঙ এর ইতিহাস গুলোর আসল রঙ টা বের করতে আজ আর সমস্যা হয়না। আমরা ৪৭ দেখিনি, ১/১১ দেখেছি। আইয়ুব দেখিনি, এরশাদ দেখেছি। বাকশাল দেখিনি, ডিজিটাল দেখছি। বৃটিশ ভারত দেখিনি, মার্কিন-ইসরেলী ভারত দেখছি।
হয়তো তার অংশই(আসলে ভগ্নাংশ)হয়ে যাবো জীবদ্দশায়।
তাই ক্রিকেট নাটকের উদ্বোধনীতে বলিউডি সংস্কৃতির আগ্রাসনের আশংকায় আর অবাক হইনা। নিছক প্রতিবাদ, প্রতিরোধে মূল সমস্যার বিশেষ প্রতিকার হবে মনে করিনা। তবু এই ব্লগীয় প্রতিবাদকে সংবাদপত্র ও অন্যান্য মিডিয়া’র পথ বেয়ে রাজপথ এ আসতে দেখলে খুশীই হব। হয়তো ছুটে আসতেও পারি মিছিলে।
এমন কোন মিছিলেই হয়তো আরেক ৫২ জন্ম নেবে। ৭১?!! এই স্বপ্নেই বেঁচে আছি এখনো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।