আশ্রু ঝরেনা নয়নে আমার
রোধির বাংলাদেশ,
রক্ত প্লাবণ দিতেছি তোমায়
নিয়ত বাংলাদেশ।
রক্ত বাদুড় আর কতো চাও
লুহিত ঝরণা ধারা,
যুগে যুগে এতো রক্ত খেয়েও
হলোনা তৃষ্ণা সারা?
মৃত্যু মিছিলে আর কতো চাও
তাজা নবীনের প্রাণ
আর কত কাল গাইতে হবে
রত্ত বেদন গান?
মুছে গেছে আজ নয়নের জল
নিভে গেছে সুর কন্ঠের,
নয়নে আজিকে রোধির ঝরিছে
নয়নে বেদনা নীর।
এতো কান্না, কতো রক্ত
কতযে যাতনা মনে,
রক্তের ধারা আজ হতে বয়ে
চলেছে অম্র কাননে।
পলাশীর মাঠে সিরাজের বুকে
মিলেছে কতনা রক্ত বুক।
এতো রক্তের লাল ক্যানভাসে
হেরেছিনু মোরা সূর্য়ালোক।
আগত হায়েনা, শাদা হানাদার,
শকুন শৃগাল দেশীয় দোসর
রায় দুর্লব- বল্লব- শেট- মির্জাফর-
রক্তের স্বাদ নিয়েছিলো বেশ
বিক্ষত করে বাংলাদেশ।
রক্ত ঝরেছে সাতচল্লিশে
রক্ত ঝেরেছে বাহান্নয়;
নয়'ই ফাল্গুনে রক্তের গুনে
মায়ের ভাষাতে আজ কথা কই।
সালাম রফিক বরকত আর
শফিউর জব্বার- 'জয়তো-জয়'
তোমাদের বোনা রক্ত বীজেই
একাত্তোরের লাল বীজয়।
ভেঙ্গে পিঞ্জর হাজার বছর
অবসান করে দাসত্তের
তবুও কান্না, রক্ত কামনা
আপন স্বাধীন রাজত্বের।
হায় হায় দিন যায় বয়ে যায়
ক্ষয়ে যায় মোর বাংলাদেশ,
এক এক করে আরো তার পরে
গুনে গুনে ক্ষত হয়না শেষ।
রক্ত ঝরিছে খেতে মাঠে চরে
রক্ত খাচ্ছে রাজ প্রাসাদ,
কত রাজ পথ আজো হয় লাল
শ্রমের বাজারে রক্ত নাদ।
শাসকের হাতে শোসনের বেড়ি
কন্ঠে পড়িল জন গনেশ,
কার জানি দায়ে রোধিরে লোহিত
দু'হাজার তেরো বাংলা দেশ।
অনেক রক্ত দিয়ে কিনে ছিনু দেশ
হয়েছিনু মোরা স্বাধীন,
তবে আজো কেনো মোদের এহেন
সুধিতে হইছে রক্ত ঋণ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।