RAJUK (রাজউক কেন কেড়ে নেবে মানুষের জমি? )
রাজউকের বুলড্রোজার আতংকে বড়কাওয়ের মানুষ
কিছু মানুষের প্লটের জন্য, অনেক মানুষের ঘর আর জীবকা ধ্বংশ করেছে রাজউক। কেড়ে নিচ্ছে জমি, পুকুর, ফসলের মাঠ, পূর্বপুরুষের কবরস্থান, ভিটামাটি। বুলড্রেজার আর বালু দিয়ে কবার দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বপ্ন। কেটে নিচ্ছে অনেক প্রাণীর বাসস্থান। রাউজক প্রকল্প কারা প্লট পায়? কাদের জমি কেড়ে নেয়? সাধারণ মানুষের জমি কেটে নিয়ে, কিছু মানুষের জন্য প্লট দেয়া কি রাজউকের জন্য জরুরি? রাজউকের এ প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে নিঃষ¦ করে কাদের লাভবান করা হয়?
[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/tahin2000_1375809555_1-RAJUK_Why_do_Such__3_.JPগতকাল গিয়েছিলাম পারাবর্তা ও বড়কাও গ্রামে।
পুর্বাচল প্রকল্পের জন্য এই মৌজার মানুষের যদি অধিগ্রহন করেছে রাজউক। ইমন ক্লাস ৪ এ পড়ে, সে বলল তাদের বাড়ির ৩টি তাল গাছ কেটে ফেলেছে ঠিকাদার। আর রাজ্জাক ভাই বলল, তার সবজির জমিতে বালু ফেলে সবজির ক্ষেত ধ্বংশ করেছে দিয়েছে। রাজউক তাকে বেকার করেছে। ইমন তাদের গাছ কাটার প্রতিবাদে একটি বুলড্রোজারের চেইনের ১২টা বাজিয়েছে।
গ্রামের মানুষ বলল, এখানে শত বছরের পুরাতন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা হয়েছে হাজার ফল আর ঔষধের গাছ। গাছগুলো কেটে গর্ত করে বালু দিয়েছে রাজউকের ঠিকাদার। তাদের কথার প্রমানও মিলেছে ৭-৯ ফুট হিজল গাছের পাতাগুলো শুধু বের হয়ে আছে, বাকীটা মাটিতে ঢাকা।
এই এলাকায় একসময় বানর, বনমুগরী,শিয়াল, মেছোবাঘ, হেজা (সজারু), খইডা (খরগোস), বউড়াল, বই কই, নানা ধরনের সাপ ও সরীসৃপ ছিল আজ এ জমি শুধু মরুভুমি।
রাজউকের পুর্বচলের প্রকল্পে কিছু মানুষের জন্য প্লট দিয়ে গিয়ে ধ্বংশ করা হয়েছে এ সকল প্রাণীর আবাসন আর মানুষের বাড়ী জমি।
পারাবর্তা ও বড়কাও মৌজায় বিভিন্ন স্থানের বিল, পুকুর আর নিচু জলের আধার ভরাট করছে রাজউক। এভাবে পরিবেশ ধ্বংশ পরিবেশ আইন ১৯৯৫, জলাধার আইন ২০০০ এবং পানি আইন ২০১৩ এর সুপষ্ট লঙ্ঘন।
জমি, বাড়ী, ফসলের ক্ষেতে কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত নয় রাজউক। যারা জমি দিতে ইচ্ছুক নয়, যারা প্রতিবাদ করে সেই গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে দেয় হয় মামলা, পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকির ব্যবস্থা।
রাজউক একটি সরকারের প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান কেন সাধারণ মানুষের জমি কেটে নিয়ে, কিছু ধনী মানুষকে দেবে। কেন তারা প্লটের ব্যবসা করবে। শত শত ডেভলাপার প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের কাজ তদারকি করার দায়িত্ব রাজউকের। কিন্তু লোকবল সংকটের দোহাই দিয়ে তদারকি আর মনিটরিংয়ের কাজ করে না।
বরং তারা ব্যস্ত প্লট বানিজ্যে।
রাজউকের এ ধরনের প্লট বানিজ্যের অবসান হবে, তারা নিয়ন্ত্রক ও তদারকি সংস্থার দায়িত্ব নেবে। একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে নিরুপন করা হবে কি পরিমান পরিবেশ ধ্বংশ করেছে রাজউক। মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত করবে, কিভাবে মানুষকে উচ্ছেদের জন্য অসংবিধানিক ও বেআইনী কাজ করেছে এ প্রতিষ্ঠান..এ প্রত্যাশা রইল...
রাজ্জাক আলী, হোসনে, গিয়াস, মিজান, শ্রাবন, আক্তারসহ শত শত মানুষ আবেদন করেছে তাদের জমি যাতে কেড়ে না নেয়া হয়। তারা তাদের ক্ষেতে চাষ করে খেতে চায়।
তারা চায় তাদের গ্রাম তাদের থাকুন। আসুন অনেকগুলো মানুষ, গাছ আর প্রাণীর বাসস্থান আর প্রকৃতি ফিরিয়ে দিতে আমরা সবাই এই বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।