যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
প্রথমেই বন্দুক তাক করা আর্মীর সামনে পড়তে হবে আপনাকে, যদি ভুলক্রমে রাজউকে ঢুকে পড়েন। তারপরে তল্লাশী। ভেতরে যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন টহলদার সেনাদের পদচারণা। আপনাকে দেখছে, যাচাই করছে, শক্র কিনা। হয় আপনি ঘুসদাতা নয়তো ঘুস গ্রহীতা।
রাজউকের স্টাফদের বিশ্বাস করে না তারা, সজাগ দৃষ্টি আগন্তুকদের প্রতিও। মনে হবে এখানে কেবল টাকার খেলা, রাজউকের বাতাসে কেবল টাকাই ওড়ে। সেনাবাহিনীর এই আস্ফালনে রাজউকের বিভিন্ন কাজে আসা নাগরিকদের ভোগান্তি এখন চরমে।
শুনেছি, এক সেনাধ্যক্ষ এক বড় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এবার কত টাকার কাজ দিলেন? কর্মকর্তা উত্তর দিল, চল্লিশ কোটি!
সেনাধ্যক্ষ তাকে শুধোলেন, মাশাল্লাহ! তাহলে তো বিশ কোটি কামিয়েছেন! আমার জন্য কত বরাদ্দ!
দুদকের লিস্টে একমাত্র আর্মী ছাড়া সমস্ত সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ধরা পড়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা জানে আর্মীও এখন বেসরকারী প্রশাসনের সাথে তাল মিলিয়ে ঘুস খাওয়া শুরু করেছে।
একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র আর্মীকে ঘুস দেয়াটা উসুল করার জন্য তার ক্লায়েন্টের নিকট থেকে এখন ডাবল ঘুস নেয়া শুরু করেছে।
ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, রাজউক আগেই ভাল ছিল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।