আমাদের দেশে আর কখোনো কোন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করতে চাইবেন বলে মনে হয় না। বিষয়টা এখন এমন যে, আমাদের দেশে কোন বিখ্যাত ব্যাক্তি মাত্রই রাজনীতিবিদদের চক্ষুশূল। এই বরেণ্য ব্যাক্তিদেরকে হয় আদর্শ বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতির ময়দানে কোন এক দলকে সাপোর্ট করতে হবে নতুবা একের পরে এক হয়রানি হতে হবে। প্রথম এবং এ পর্যন্ত একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ সেই ইঙ্গিতই দেয়। তাকে তার প্রতিষ্ঠীত গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিতাড়িত করেও যেন কোন এক মহলের স্বস্তি হচ্ছে না।
নতুন করে তাকে গ্রামীণব্যাংক-গ্রামীণফোন দুর্নীতিতে ফাসানোর চেষ্টা চলছে। আজকে টিভিতে নব্য এক অর্থনীতিবিদকে দেখলাম কোন এক নোবেল বিজয়ীর ১৭ বছর জেল খাটার কথা বলে ইউনূস স্যারেকে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলছে!সে ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কথা বলার ধৃষ্ঠতা কীভাবে দেখায় যখন জ্ঞানের দিক দিয়ে সে ড. মুহম্মদ ইউনূসের ধারে কাছেও নেই। হঠাৎ করেই এ অর্থ কারচুপির ঘটনা এক গভীর ষঢ়যন্ত্রের নীলনকশারই ইঙ্গিত দেয়। কিছুদিন আগে সরকার গ্রামীণব্যাংককে রাষ্ট্রীয়করণ করতে চেয়ে ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরোধীতায় সফল হতে পারেনি। এখন ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ফাসিয়ে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করে কার্য সিদ্ধি করতে চাইছে।
উনার মত গুণী মানুষকে আরও কীভাবে কাজে লাগিয়ে এদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উন্নত করা যায় সে চেষ্টা না করে, আমরা তাকে অপমান করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছি।
সত্যিই দুঃখ হয় যখন দেখি, যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নামকে উজ্বল করছে তার গায়ে কালিমা লেপন করতে এদেশের সরকার উন্মাদ হয়ে লেগেছে।
সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এদেশের নতুন প্রজন্মের তরুণেরা সকলে এ্যাটর্নী জেনারেলের মত নয় যে নোবেল এর জুরী বোর্ড থেকেও নিজেকে বেশী জ্ঞানী মনে করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।