হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।
রাজার নতুন পোষাকের গল্পটা জানা আছে নিশ্চয়। এক ধান্ধাবাজ ঘোষনা দিলেন যে তিনি রাজার জন্য এমন সুন্দর পোষাক বানিয়ে দিবেন যে এর চে সুন্দর পোষাক আর পৃথিবীতে হতে পারেনা। এর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট হল কোন জারজ সন্তান এই পোষাক চোখে দেখতে পাবেনা। সেই ধান্ধাবাজ এই বলে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রকৃতপক্ষে কোন পোষাক বানান নি, রাজা কে ন্যাংটা করে রাস্তায় ছেড়ে দিলেন।
রাজার সভাসদ সহ কেউই বলতে সাহস পেল না যে রাজা ন্যাংটা কারন এটা বললেই সে জারজ সন্তান হিসাবে প্রমানিত হবে। রাজাও বুঝে গেল ব্যাপারটা, কিন্তু তিনিও জারজ সন্তান হতে চান না। ন্যাংটা থাকলে অসুবিধাই বা কি, কেউ তো (বিশেষ করে সুশীল সমাজ) আর কিছু বলছে না। শেষে এক শিশু বলে বসল আরে রাজা দেখি ন্যাংটা।
গল্পের পরের অংশটা কেমন হতে পারে?
রাজার দরবারে ধরে আনা হল শিশুটিকে, দেশের এক মাত্র জারজ সন্তান।
ওর মায়ের নামে মামলা দেয়া হল, তাকে ধরে রিমান্ডে নেয়া হল। এবং সে স্বীকারও করল যে এই বাচ্চা জারজ সন্তান। তার পর বিভিন্ন মেয়াদে মা ও সেই শিশুটির কারাদন্ড দেয়া হল। মজার ব্যাপার হল, জারজ সন্তানের পিতা সনাক্ত করা গেল না কারণ ধারনা করা হচ্ছে সে সুশীল সমাজের কেউ হবে। এরপর যথারীতি রাজা ন্যাংটা হয়ে চলা ফেরা করতে লাগল।
ছোটকালে শুনতাম কাক নাকি পায়খানা করার সময় চোখ বন্ধ করে রাখে, তার আশা এতে তার গোপন অংগ কেউ দেখতে পাবে না। সুতরাং কাকের পাছা দেখে ফেলা শিশুরা যতই চিল্লাক না কেন, কাক আর সেটা স্বীকার করে না। বলে ওটা তোদের ধারনা (perception), আসলে আমার পাছা তোরা দেখতে পাস নাই। কারন আমি চোখ বন্ধ করে পায়খানা করি।
এবার সারাংশ।
আমাদের বিচার ব্যাবস্থা যদি দূর্ণীতিগ্রস্ত হয়ত হয়েছে, তো কি হয়ছে? এদেশের কিইবা দুর্ণীতিগ্রস্ত নয়? টিআইবির এত বড় সাহস কোত্থেকে হয় যে তারা রাজাকে ন্যাংটা বলে? এদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দিয়ে এক মাসের রিমান্ডে নিয়ে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া উচিত।
শুধু একটি প্রশ্নঃ চোখ বন্ধ করে পায়খানা করলে কি ইজ্জত কি রক্ষা হয়??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।