গর্জে ওঠার এইতো সময়.... তিতাস বাচাও, দেশ বাচাও

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের বড় পর্দায় হয়ে গেল উন্মুক্ত পর্ণো ফিল্মের প্রদর্শনী। শিরোনাম হলো সর্বত্র। সারাবিশ্বের মিডিয়ায় এটি নিয়ে ঘটে গেলো তুলকালাম কান্ড। ইয়াহু, গুগল জুড়ে ছিলএই খবর। বাংলাদেশ আকস্মিক ভাবে একটি নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হলো।

ঘরের পাশের এনডিটিভি থেকে আমেরিকার এনবিসি, গালফ নিউজ থেকে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড কেউ বাদ নেই। গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে। ইতালির সংবাদপত্রে হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্টে অপেক্ষমানদের একটি আলোক চিত্রও প্রকাশ করেছে এজিআই। পিটিআই ও এএফপি এ বিষয়ে খবর পরিবেশন করেছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কতৃপক্ষ ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তবে ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আখতার বলেছেন - "ওই সময়ে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনার পরপরই দু'মাসের জেল দেয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে কোন ধরণের অপরাধমূলক অভিসন্ধি (পরে আসবে-- যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য কোন ষড়যন্ত্র) রয়েছে কিনা সেটা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। " বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেছেন- 'শুক্রবার সকালে যথারীতি টিভির পর্দাগুলোতে বাংলাদেশের নিসর্গ ও আবহমান বাংলার দৃশ্যাবলীর প্রদর্শনই প্রত্যাশিত ছিল। অন্যান্য দিনের মতোই টার্মিনালের বিভিন্ন পয়েন্টে অপেক্ষমান বা বিশ্রামরত ছিলেন যাত্রী ও তাদের আত্নীয়স্বজন। হঠাৎ সেখানে ভোজবাজির মতোই পর্ণো ফিল্ম প্রদর্শন শুরু হয়।

কর্তব্যরত কর্মকর্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কিছু বোঝার আগে ফিল্ম চলতে থাকে। অবশ্য পাচ মিনিটের বেশি সময় এটা ঘটেনি। উল্লেখ্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শের সৈনিক দাবীদার আওয়ামীলীগ সহ মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের বহুদিনের লালিত সংস্কৃতিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। নগ্ন সংস্কৃতির আগ্রাসন আজ ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রদর্শনীর আযোজন করা হয়েছে বলে নিন্দুকদের অভিমত।
।