আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কখনো আমি.............

প্রতিবন্ধীদের ভালোবাসুন। তারাও এ সমাজের নাগরিক।

আমি নই আমাতে; আমি সেখানে- যেখানে দু'চোখ যায়। কখনো আমি একটি বন। ফুল ফল ছায়ায় সবাইকে শ্যামল মায়ায় জড়িয়ে রাখি।

পিয়ে নেই বিষাক্ত গ্যাস, বিলিয়ে দেই বিশুদ্ধ সজীব নিঃশ্বাস। তবুও নিষ্ঠুর কুঠারের আঘাতে ব্যথায় ব্যথায় আমার প্রাণের হয় ক্ষয়। বাঁচতে কাঁদি, বাঁচাতে কাঁদি, আকাশে বাতাসে মুক ভাষা ছড়িয়ে দিয়ে বলি- মেরো না বন্ধু; আমাকে প্রাণে মেরো না। কেউ শোনে না, কেউ বুঝে না আমার এ ভাষা, এ করুণ আকুতী। কখনো আমি এক ভিখেরী মায়ের ক্ষুধার্থ শিশু।

আমার কান্না মায়ের পাঁজর ঝাঝরা করে দেয়। চেয়ে চেয়ে দেখি এক টুকরো রুটির জন্য মা আমার কত লাথি গুঁতো, আ-কথা, কু-কথা সহ্য করে দ্বারে দ্বারে ফিরে। তবুও মিটে না ক্ষুধা! এ বড় ভয়ঙ্কর জ্বালা। কাঁধে চেপে থাকা দুর্বল মাথাখানি পায় মায়ের অসহায় স্পর্শ। কানের কাছে অহরহ করে নাভিশ্বাস! হায়! আমার কান্না কি সর্বনাশ! কখনো আমি বহমান নদী।

সাদা ভাতে মাছ আর ভূমিতে পলি পরিবেশন করা আমার ধর্ম। কত কবিতায়, কত ভালোবাসায়, কত মমতায় জড়িয়ে থাকি। তবুও কেন আবর্জনার স্তূপ আমার গতি মন্থর করে? কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য আর ড্রেনের ময়লা জমে আক্রান্ত হয় আমার সন্তানেরা। শুকিয়ে যায় বুক, ফেটে হয় চৌচির। কখনো আমি এক বেকার যুবক।

ঘরে অসুস্থ বাবা, ইদানিং মায়ের প্রেসারটাও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। বখাটে ছেলেদের উৎপাত বেড়েছে, বোনটির বিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। টাকা প্রয়োজন, অনেক টাকা। অথচ পকেটে ধার করে আনা সামান্য কিছু কড়ি। তাও আবার লুটে নিলো নির্দয় লুটেরা।

ঔষধ কেনা হলো না। বাড়ি ফিরে দেখবো বুঝি বাবা নেই। মায়ের পরনে সাদা শাড়ি। হয়তো মাও নেই, বোনটি করেছে আত্মহত্যা। না ফিরবো না।

ফিরবো না আর বাড়ি। হঠাৎ কে যেন দাঁড়ালো পাশে। অনুভব করলাম এ হাতে মিশেছে একটি হাত। তারই অনুদানে বাবা সেরে উঠলেন। মুছে গেল মায়ের চোখের নীচের কালি।

বোনটি সাঁজলো লাল শাড়িতে বাজলো সাঁনাইয়ের সুর। আহ্ কি প্রশান্তি! নো ভেকেন্সি’র ঢিল আমার মাথায় আর লাগে না। আমি আর বেকার নই। অদল বদলের চাকরী করি। জানি না কি-ই-বা এগিয়ে দিচ্ছি আবার কি-ই-বা নিচ্ছি।

জানলাম তখন, যখন আমি কারার অন্ধকারে। বুঝলাম আমার পা ফাঁদে আটকেছিল। হাত মিশে ছিল কালো হাতে। বন্ধু নয় শত্র“কে করেছি আলিঙ্গন। আজ আমার এমনই অবস্থা মুখ খুললে মৃত্যু না খুললে পুলিশের টর্চারিং।

হায়রে জীবন!! এ ধরাতে নেই কি কারো সেই শক্তি! যে শক্তি কেড়ে নিতে পারে নিষ্ঠুর কুঠার! যে শক্তি ঘুছাতে পারে সর্বনাশা কান্না! যে শক্তি মুছাতে পারে আমার হাতের কালো চিহ্ন! আমাকে বইতে দিতে পারে স্বাধীন ভাবে! চাইনা আমার অশ্র“ বিন্দু মায়ের গূঢ়দেশে বিষাক্ত ফোটা হয়ে পড়–ক। চাইনা বাঁচানোর শক্তি মুখ থুবড়ে পড়–ক। চাইনা সাদা সাধুতায় কালো কলঙ্ক লেপটে লাগুক। চাই ঐক্যবদ্ধ শক্তি। চাই জীবনের জয় হোক।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.