আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগের চলমান আন্দোলন, টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিতর্কিত হেডিং আর মহাচুদুরের উস্কানী!

India Times বিতর্ক! Times of India খবরের হেডিং করেছে Protesters at Shahbagh in Bangladesh backed by India খবরটির ভিতরে যদিও এই Backing বা মদদের কোন ছিঁটে ফোঁটা কথা, তথ্য বা প্রমাণ কিছুই নেই কিন্তু খবরটি শুধু মাত্র হেডিং এর কারণে খুব মজা করে বিকৃত করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মাহমুদুর রহমান এর হলুদ পত্রিকা "আমার দেশ" একটা বিষয় নিয়ে অনেকেই খুব খুশী, যেন আসমানে চাঁদ ওঠা ছাড়াই তাদের ঈদ লেগে গেছে ! আহারে!! বিষয়টি কি? টাইমস অব ইন্ডিয়া হেডিং এ লিখেছে শাহবাগের আন্দোলন ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। অনেকেই ব্যাপক খুশী। তাদের কেলানো দাঁত আর বন্ধ হয় না। এই সংবাদকে তারা মহানন্দে তাদের ফেসবুকের দেয়ালে দেয়ালে লটকে দিয়ে একটু পর পর টোকা মারছেন। আমি কি ভাবছি? আমি দেখছি বাঙ্গালীকে চাইলেই কত সহজে বোকা বানানো যায় আজকে যদি বলা হয় হে মহাচুদুর ! তুই যাকে বাবা বলে জানিস সে তোর বাপ নয় , ইন্ডিয়া টাইমস বলেছে তোর আসল বাপের নাম গোলাম আজম! ব্যাস! হয়ে গেল।

এটাই প্রতিষ্ঠিত হবে এই দেশে তাইতো! এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই ধরণের একটি পত্রিকা এরকম একটি হেডিং দিয়ে খবর প্রকাশ করল যা আমরা নিজেরাই জানি সর্বৈব মিথ্যা। আমরা কি জানিনা কি ভাবে একজন দুই জন করে যোগ দিয়ে দিয়ে শাহবাগের আন্দলন গড়ে উঠেছে? নাকি আমাদেরকে আমাদের মা বাবার পরিচয়ের জন্যেও বিদেশী মিডিয়ার খবরের উপর নির্ভর করতে হবে? শালা মেরুদন্ডহিন লিংগসর্বস্ব মানুষের অভাব নেই এই দেশে--- ভাবা যেতেই পারে বিষয়টি নিয়ে। একেবারে দালিলিক প্রমাণ রয়েছে আমেরিকার এক লবিস্ট ফার্মের সাথে যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা, দিগন্ত টিভির জনক মীর কাসেম আলী ২৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশে ফিরেছিল। এরকম লবিস্ট কি পৃথিবীর আর কোথাও তা্রা নিয়োগ করেনি? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত তাদের কেনা হয়ে গেছে। একেবারে মোক্ষম জায়গা বাড়ীর পাশে ভারত যেখান থেকে এক বদ মহিলাকে দিয়ে একবার বলানো হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ মরে নি--হতে পারে সাকুল্যে ৩ লাখ---আর আমরাও কি সুন্দর বসে গেলাম বিশ্বাস করতে।

তাছাড়া ভারতের মিডিয়ায় বিতর্কটি তুলতে পারলে বাংলাদেশের আবেগের জায়গাটি ভাল ভাবে চুলকে দেয়া যায় হাহ! বড় বিচিত্র এই দেশ! অবাক হব না এই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর সবগুলো প্রভাবশালী দৈনিকেও যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রকৃয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিবন্ধ ছাপা হয়--যুদ্ধাপরাধীদের জন্য প্রজন্ম চত্বরের আন্দলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় আমি অবাক হব না----কারণ আমি জানি এই অপকর্মের জন্যেই জামাতিরা লবিস্ট নিয়গ করেছে। আমি জানি আমার নিজের পরিচয়--আমার অবস্থান, আমার বাস্তবতা, আমার সত্যমিথ্যা----আমার নিজের দেশের , নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমি কান কথায় কান দিতে পারি না। - ঐ মিয়া ! চিলে তো আপনার কান নিয়া গেছে---এলা দৌড়ান চিলের পিছে। শালা আহম্মকের দল!! পূণশ্চঃ ----'খবিস' দের কেউ যদি অশালীন ভাষায় মন্তব্য করে--আমি কাঁচি চালাবো। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।