আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোয়াখালীতে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত শতাধিক দুস্থ বয়স্ক ও বিধবা

নোয়াখালী সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার দাবিকৃত ঘুষের টাকা না দেওয়ায় শতাধিক  দুস্থ বয়ষ্ক ও বিধবা ভাতা সুবিধাভোগীর পাসবই আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে আগামি ঈদের আগে ব্যাংক থেকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা তুলতে পারবেন না এ সব সুবিধাভোগীরা। ফলে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সদর উপজেলার শতাধিক দুস্থ বয়স্ক ও বিধবা।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বয়স্ক, বিধবা ভাতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি মারা গেলে একই গ্রাম ও ওয়ার্ড থেকে নতুন সুবিধাভোগী বাচাই করে মৃত ব্যক্তির নামের পাস বই নতুন করে মনোনীত ব্যক্তির নামে অনুমোদন করতে হয়। আর এই অনুমোদন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা।

সরকারি এই নিয়ম মেনে সম্প্রতি উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৬০ জন বয়স্ক ও বিধবার তালিকা চূড়ান্ত করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নানা অজুহাত তুলে পাস বই অনুমোদন ঝুলিয়ে রাখেন। এক পর্যায়ে এই কর্মকর্তা মাঠ-কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি বই অনুমোদনে এক হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য নেয়াজপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে তিনি চেয়ারম্যানের কাছেও ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের শতাধিক পাশ বই ঝুলে আছে।

এতে মনোনীত ওই ব্যক্তিরা আগামী ঈদের আগে ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতা তুলতে পারবেন না।

চেয়ারম্যান আবুল কালাম অভিযোগ করেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে ঘুষ দাবির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি তার কাছেও বই প্রতি এক হাজার করে দাবি করেন।

একই অভিযোগ করেছেন এওজবালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানও। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নের ২৫/২৬টি বই আটকা আছে।  ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজদী গ্রামের নুর উদ্দিন জানায়, তার বই অনুমোদনের জন্য তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।

পরে বাধ্য হয়ে ৫শ টাকা দিয়েছেন।

তবে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যেসব পাস বই আটকে রাখা হয়েছে, যাদের নাম প্রস্তুাব করা হয়েছে, তাদের কাগজপত্র ও তথ্য যাচাই-বাছাই করতে সময় লাগায় অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। তিনি কারো কাছে ঘুষ দাবি করেননি।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.