আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেরে বাংলা নগর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা

সাদাসিদা মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি . . .

আজ আমরা শেরে বাংলা নগর নামে ঢাকার যে স্থানটিকে বুঝি এক সময় তার ছিল আইয়ুব নগর । ১৯৬৯ সালে তখনকার পাকিস্তান সরকার সেন্ট্রাল গভঃ ইমপ্লই পোষ্যদের শিক্ষার সুবিধার্থে সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল নামে তৎকালীর ঢাকার আইয়ূব নগরে এই সরকারী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে । পাঠদান করা হতো ষষ্ঠ শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত । ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আইয়ূব নগরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শেরে বাংলা নগর । সেই সাথে পরির্বতন আসে বিদ্যালয়ের নাম, রাখা হয় শেরে বাংলা নগর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় ।

পাঠদান শুরু হয় প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত । প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিদ্যালয়টিতে এক শিফটে শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল । ১৯৯১ সালে এর সাথে সংযোজিত হয় প্রভাতী শাখা । এবং, ২০০৮ শিক্ষাবর্ষে এ বিদ্যালেয়র সাথে যুক্ত হয় একাদশ শ্রেণী (কলেজ শাখা) । বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা এখানে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে ।

বিদ্যালয়ের মনোগ্রাম: ছোট বৃত্তের মাঝে প্রজ্জলিত প্রদীপের পাশে খোলা বই এবং নিচে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সন । ছোট বৃত্তের বাইরে বৃত্তাকারে বিদ্যালয়ের রাম ও পোস্ট কোড লেখা । তার বাইরে বড় একটি বৃত্ত । বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো: জমির পরিমাণ ৩ একর, শ্রেণী কক্ষ ৪৫ টি, লাইব্রেরী ০১ টি, কম্পিউটার ল্যাব ০১ টি, কমনরুম (ছাত্র) ০১ টি, ভবন সংখ্যা ০২ টি, ল্যাব ০৫ টি, নামাজ ঘর ০১ টি, শিক্ষক মিলনায়তন ০২ টি, খেলার মাঠ ০১ টি, মিলনায়তন ০১ টি, বিএনসিসি কক্ষ ০১ টি, স্কাউট কক্ষ ০১ টি, প্রধান শিক্ষকের আবাসিক ভবন ০১ টি । প্রশাসনিক কাঠামো: প্রধান শিক্ষক ০১ জন , সহকারী প্রধান শিক্ষক ০২ জন (প্রভাতী ১ জন + দিবা ১ জন), সহকারী শিক্ষক ৫০ জন (প্রভাতী ২৫ জন, দিবা ২৫ জন), অফিস সহকারী ০৪ জন, চর্তুথ শ্রেণীর কর্মচারী ১০ জন (প্রভাতী ৫ জন + দিবা ৫ জন) ।

শ্রেণীসমূহ : প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পযর্ন্ত । ছাত্র সংখ্যা: প্রভাতী শাখা ১০৫২ জন, দিবা শাখা ১০০০ জন, কলেজ শাখা (দ্বাদশ) ৯৩ জন, কলেজ শাখা ১২৩ জন । সর্বমোট ২২৬৮ জন । প্রভাতী শাখায় কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা হলেন: এ.ই.এম আব্দুল মান্নান, শামসুন নাহার, বেগম দিল আফরিদ, ডলি দেবী, রোকসানা গণি, রোমেনা আক্তার, শিরীন আফরোজ, নাদিরা জিনাত, নূরজাহান বেগম, নাফিসা ইসলাম, মোঃ আব্দুল মান্নান, তুষার রজ্ঞন ধর, তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার, মুশফিকুন নেছা, ফৌজিয়া আক্তার সুলতানা, মিয়া মোঃ আবদুল হাসিব, সৈয়দা শবনম অরোরা, নিশাত সুলতানা ইয়াসমিন, শর্মিল পারভীন, মোঃ বদর উদ্দিন, আফরিন সুলতানা, রহিমা খাতুন, খোদেজা বেগম এবং সবার প্রিয় হামিদা টুকু । দিবা শাখায় কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা হলেন: ফিরোজা বেগম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল হোসেন, আতিকুল ইসলাম, রূমী শামসুন নাহার, ফোরাত জাহান, নাজমুন নাহার, রোমেনা নার্গিস আরা লেইছ, এলিজা আফরোজ, মাহমুদা আহমেদ, ফারহানা সানজিদা আলী, কনিকা দাস, মঞ্জুয়ারা সিদ্দিকা, মোঃ আজহার আলী সিকদার, খোদেজা বেগম, মোঃ ফখরুল ইসলাম, সেলিনা আক্তার, জাকিয়া বেগম, মোঃ সোলেয়মান মিয়া, মোঃ মোশারফ হোসেন, নাসরীন সুলতানা, মাহসুবা রহমান, হারুন-উর-রশীদ, কামরুন নাহার সুলতানা এবং সবার প্রিয় আশাবালা সরকার ।

বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন মুহম্মদ আব্দুস সামাদ (০১ ডিসেম্বর ১৯৬৯ থেকে ১১ জুন ১৯৭৬) এবং সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন সৈয়দা জিন্নাতুন নূর (২৭ জুন ২০০৭-বর্তমান) এবং সবচেয়ে সফল প্রধান শিক্ষক ছিলেন নাজমুন নাহার শাহীন । বিদ্যালেয়র সূচনা লগ্ন থেকে আজ পযর্ন্ত যে সব নিবেদিত শিক্ষক/শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে অকৃপন অবদান রেখেছেন তাদের জন্য এই নিবন্ধটি উৎসর্গ করলাম ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.