মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে।
লেখকের জন্ম ১৯৫৬ সালে আঙ্কারায়। হারুন ইয়াহিয়া তার ছদ্মনাম। আঙ্কারায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি ইস্তাম্বুলের মিমার সিনান বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যয়ন করেন।
১৯৮০’র দশক থেকে লেখক রাজনীতি, ধর্ম ও বিজ্ঞান বিষয়ক বহু সংখ্যক গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশ করেছেন।
বিবর্তনবাদীদের (Darwinism) প্রতারণা, তাদের তত্ত্বের অন্তঃসারশূন্যতা, এবং ফ্যাসিজম (Fascism) ও কমিউনিজম (Communism) এর মতো হিংস্র ভাবধারাসম্পন্ন আদর্শগুলোর সঙ্গে ডারউইনবাদের গোপন, কলঙ্কিত ও ধ্বংসাত্মক সম্পর্ক উদঘাটন করে বহু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ বই লিখে ব্যাপক খ্যাতি ও পরিচিতি অর্জন করেছেন লেখক হারুন ইয়াহিয়া। ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বিখ্যাত দুইজন নবীর নাম [হারুন (Aaron) এবং ইয়াহিয়া (John)] - এর পূণ্য স্মৃতিতে লেখকের ছদ্মনাম হারুন ইয়াহিয়া। তার লেখা বইগুলোর মলাটের উপর মুদ্রিত রাসুলুল্লাহর সীলমোহরটি অন্তর্নিহিত লিপিসমষ্টির ব্যঞ্জনাসম্পৃক্ত প্রতীক স্বরূপ। লিপিত্রয়ীর প্রতীকী তাৎপর্য হচ্ছে, শেষ কিতাব কোরআন এবং শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ)। নিরীশ্বরবাদী মতাদর্শগুলোর প্রতিটির মৌলিক তত্ত্ব কুরআন ও সুন্নাহ্র্ আলোকে মিথ্যা প্রমাণিত করা ও ধর্মের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কুযুক্তিগুলো চিরতরে স্তব্ধ করে দেবার জন্য “শেষ কথাটি” বলা তিনি জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
পরম জ্ঞান ও নৈতিক পূর্ণতা অর্জন করেছিলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ)। ওই শেষ কথাটি বলার প্রতীক স্বরূপ শেষ নবীর সীলমোহরটি গ্রহণ করেছেন তিনি। তার সকল রচনা একটি আদর্শ ঘিরে; কুরআনের বাণী পৌঁছে দেয়া; আল্লাহর অস্তিত্ব, তার একত্ব, পরকাল প্রভৃতি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে মানুষকে উৎসাহদান এবং নিরীশ্বরবাদী মতাদর্শগুলোর দূর্বল ভিত্তি বিকৃত তত্ত্ব উদঘাটন করা। হারুন ইয়াহিয়া পৃথিবীর বহু দেশ জুড়ে বিপুল পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার পাঠকেরা ছড়িয়ে আছেন ভারত থেকে আমেরিকা পর্যন্ত, ইংল্যান্ড থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত, পোল্যান্ড থেকে বসনিয়া এবং স্পেন থেকে ব্রাজিল পর্যন্ত।
তার কয়েকটি বই অনূদিত হয়েছে ইংরেজী, ফরাসী, জার্মান, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, উর্দু, আরবী, আলবানীয়, রুশ, সাঁবো-ক্রোট (বসনিয়), পোলিশ, মালয়, উইগুর তুর্কি এবং ইন্দোনেশিয় ভাষায় এবং এগুলো পাঠকদের হাতে সমাদৃত হয়েছে পৃথিবীর সর্বত্র।
তার বইগুলো পৃথিবীর সর্বত্র বহু মানুষকে ধর্ম বিশ্বাস ফিরে পেতে এবং ধর্মবিশ্বাসে গভীবতর অন্তর্দৃষ্টি লাভে সহায়তা করেছে। গভীর প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা ও প্রাঞ্জলতা বইগুলোর অনন্য বৈশিষ্ট্য। ফলে যে-কোনো পাঠক বইগুলো পড়ে শক্তিশালী প্রভাব অনুভব করেন। বইগুলো তড়িৎ কার্যকর, নিশ্চিত ফলপ্রসু এবং অখন্ডনীয়।
এই বইগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে ও তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গভীরভাবে বিবেচনা করে কারও পক্ষে জড়বাদী দর্শন, নাস্তিক্য বা অন্য কোনো বিকৃত মতবাদ বা দর্শন প্রচার করা প্রায় অসম্ভব।
যদি কেউ করে তবে তা কোনো যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে নয় বরং নেহাতই ভাবালুতার কারণেই তা করবে, এই বইগুলো তাদের ভ্রান্ত মতবাদসমূহকে ইতোমধ্যেই ভিত্তিহীন প্রতিপন্ন করেছে। হারুন ইয়াহিয়ার পুস্তকমালার সুবাদে আজ নাস্তিক্যদুষ্ট সকল মতবাদের চলতি আন্দোলন সমূলে উৎখাত হয়েছে।
এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই তার বইগুলোর এসব বৈশিষ্ট্য কুরআনের প্রজ্ঞা ও প্রাঞ্জলতার প্রতিফলন বই কিছুই নয়। লেখক মানবজাতির আল্লাহর সঠিক পথ সন্ধানে মাধ্যম হতে চান শুধু।
বইগুলোর প্রকাশনা থেকে কোনো বৈষয়িক প্রাপ্তির প্রত্যাশা নেই।
এসব বিষয়ের আলোকে যারা হৃদয়ের “চক্ষু” উম্মীলনকারী ও আল্লাহর পথে আমন্ত্রণকারী এ বইগুলো পাঠে মানুষকে উৎসাহ দান করবেন তারা একটি মূল্যবান ও মহৎ সেবা কর্ম সম্পাদন করবেন।
আরেকটি কথা। যেসব বই মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, মানুষকে আদর্শিক বিশৃঙ্খলায় নিপতিত করে এবং মানুষের চিত্তভূমি থেকে সংশয়কন্ঠক নির্মূলকরণ যেসব বইয়ের উদ্দিষ্ট নয় সেসব বই প্রকাশ ও প্রচার করা সময় ও শক্তির অপচয় মাত্র। এটা সহজেই অনুধাবন করা যায় যে সব বই মানুষকে বিশ্বাস-চ্যুতি থেকে রক্ষার মহৎ উদ্দেশ্যে নয় বরং লেখকের সাহিত্য রচনার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য রচিত হয় সেসব বই এত শক্তিশালীরূপে কার্যকর হতে পারে না।
যারা এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তারা স্বচ্ছন্দেই দেখতে পাবে যে হারুন ইয়াহিয়ার বইগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে অবিশ্বাসকে জয় করে কুরআনের নৈতিক মূল্যবোধগুলোর প্রসারণ। পাঠকের বিশ্বাসদৃঢ়তায়ই এই সেবার প্রভাব ও সাফল্য সুপ্রকাশ।
একটি কথা মনে রাখতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে অব্যাহত নৃশংসতা, সংঘাত ও বিপর্যয়ের শিকার, তার প্রধান কারণ হচ্ছে ধর্মহীনতার আদর্শিক অস্তিত্ব। এই অবস্থার অবসান হতে পারে কেবল ধর্মহীনতার আদর্শিক পরাজয়ে এবং সৃষ্টিতত্ত্বের বিস্ময় কুরআনের নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করে মানুষকে কুরআন নির্দেশিত জীবনাচরণে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে।
আজকের বিশ্বপরিস্থিতিতে, যখন মানুষ ক্রমাগত হিংসা, দূর্নীতি ও সংঘাতের অধোমূখী চক্রে চালিত হচ্ছে, এ কাজটি আরও দ্রুততা ও কার্যকারিতার সঙ্গে করতে হবে। নইলে বড্ড দেরী হয়ে যেতে পারে।
হারুন ইয়াহিয়ার প্রকাশনা থেকে:
১
The World Order
Or
The New Masonic Order
দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা দ্য নিউ মেসনিক অর্ডার
(1000 PAGES, 285 PICTURES)
( বিশ্বের ৫০০ শত বছরের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের পিছনের প্রকৃত সত্য : নেপথ্যে কলকাটি নেড়েছে বা মাষ্টার মাইন্ড ছিলো যে সব নেতারা )
(এধরণের বই আগে কখনও লেখা হয় নি এবং তাই মানুষের পড়ারও সুযোগ হয়নি। )
দ্য নিউ মেসনিক অর্ডার - প্রায় ১০০০ পৃষ্ঠার বিশাল ভলিউমের বই। হারুন ইয়াহিয়ার বই এর তালিকায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বই।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের ঘটনা দিয়ে শুরু। পরবর্তীতে ইহুদি এবং মেসনদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইউরোপের ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যবস্থা। সেই পরম্পরায় ঐ ব্যবস্থার প্রভাব বলয়ে বিংশ শতাব্দী কাল প্রবাহকে টেনে নিয়ে আসা। এই বইতে আরও জানা যাবে ইসরেলের অতি গোপন পররাষ্ট্রনীতি, তৃতীয় বিশ্বে ফ্যাসিস্ট জোট গঠন এবং সাথে দেশে দেশে আন্তর্জাতিক ইসলাম-বৈরী চক্র প্রতিষ্ঠার অব্যাহত প্রচেষ্টা।
এই বইতে অনুসন্ধান করা হয়েছে ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা, যেগুলো আপাতভাবে মনে হবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে একটির চেয়ে অপরটি সম্পূর্ণ আলাদা।
ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার থেকে নাৎসী জার্মানি, খৃষ্টানদের প্রটেষ্টান্ট সংস্কার আন্দোলন থেকে বসনিয়া-হার্জেগোবিনায় রক্তাত্ত মুসলিম নিধন, গণধর্ষণ - এসব নিয়ে লেখক তাঁর বইতে ধারাবাহিক সুশৃঙ্খলার সাথে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। লেখক বইতে দেখাতে এবং প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে ঐসব ঐতিহাসিক ঘটনার পেছনে বিদ্যমান গোপনীয় ও নেপথ্য কারণসমূহকে - যেগুলো সাদামাটা চোখে এবং ভাসাভাসাভাবে দেখলে দেখা যায় না বা বোঝা যায় না। ঐসব ঘটনাসমূহ যেগুলো মনে হবে একটি অপরটির চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় ঐ ঘটনাগুলো একটির সাথে অপরটি গভীরভাবে এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে সম্পর্কিত। দেখা যাবে যে ইতিহাসের ঐসব আপাত বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাথা। দেখা যাবে যে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাসমূহের পিছনে সুচতুর একটি চক্র, অঘটন-ঘটন-পটিয়সিরা, ঐতিহাসিক নানা ঘটনার নেপথ্যে সর্বদা ক্রিয়াশীল ছিলো।
২
JUDAISM AND FREEMASONRY
জুডাইজম এন্ড ফ্রিমেসনারী
ইহুদিবাদ ও ফ্রিমেসনারী
(526 PAGES, 450 PICTURES)
অবাক করা ব্যাপার হলো - ফ্রিমেসনারীদের নিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার বই লিখা হয়েছে যুগে যুগে সারা পৃথিবীতে, কিন্তু, তাদের উত্থান, তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং তাদের বর্তমান কর্মকান্ড নিয়ে একটা অষ্পটতা রয়ে গেছে বা তাদের সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে এখনও পর্যন্ত। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, মেসনারী হচ্ছে এমন একটি আন্তর্জাতিক তৎপরতা যা ইহুদিবাদের (Judaism) সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এ জন্য তৌরাতে বা ওল্ড টেষ্টামেন্টে বিশ্বাসী ও তাদের মিশন সম্পর্কে জানা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে যদি ‘মেসনারী’ সম্পর্কে ধারণা না-থাকে।
বস্তুতঃ পৃথিবীর মানুষ ইহুদিদের সম্পর্কে যা-কিছু ধারণা পেয়েছে তা হচ্ছে কিছু নভেল ও হাতেগোনা কিছু মুভি দেখে দেখে। সেজন্য এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে বিবৃত হয়েছে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইহুদি এবং বর্তমান ইসরেলের অধিবাসী ইহুদিদের সম্পর্কে।
এবং সেই সাথে তাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে ঐ ইহুদিদের কী বা কতটুকু সম্পর্ক - তা-ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ইহুদিবাদ (Judaism) এবং মেসনারীদের সাথে সম্পর্ক কী, তাই দেখানো হয়েছে। বইয়ের শেষ পর্বে দেখানো হয়েছে যে, মেসনারীরা যুগে যুগে কিভাবে ডারউইনের অবৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে এবং একই সাথে দেখানো হয়েছে কীভাবে দেশে দেশে মানুষের ধর্মীয় বোধ-বিশ্বাস-নৈতিকতা তাদের কর্মকান্ডের ফলে আক্রান্ত হয়েছে বা দূর্বল হয়েছে।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে মূলতঃ প্রাথমিক কিছু তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বা ব্যবহার করে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের অন্যান্য উৎস ব্যবহার করা হয়নি।
এখানে ইহুদিবাদ বা জুডাইসমকে বিরুদ্ধবাদীদের দৃষ্টিকোন থেকে বা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয় নি বরঞ্চ বর্তমানে প্রচলিত বিকৃত তৌরাতের মধ্যেই যে উগ্র ইহুদিবাদ প্রোথিত বা নিহিত আছে - তা শ্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। মেসনারীদের সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। উগ্র ইহুদিবাদকে প্রকৃত মেসনদের দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয় নি এবং তা দেখা ভুলও হবে। প্রকৃত মেসন যারা সাধারণ কিছু সুবিধা ভোগের আশায় তাদের সভ্য (member) হয়েছিলো। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য মেশনারীদের বিকৃত ও মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর ও মারাত্মক কিছু ব্যাপার-স্যাপার বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা।
সাথে মানব জাতির জন্য ক্ষতিকর ও মারাত্মক ঐসব জিনিষ কারা এবং কীভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে - তা-ও দেখানো হয়েছে।
৩
BEHIND THE SCENES OF TERRORISM
(395 PAGES, 146 PICTURES)
সন্ত্রাসের নেপথ্যে
( অজানা, অকথিত এবং সাধারণভাবে অপঠিত ঘটনাসমূহ। লোমহর্ষক ঘটনাবলী। মোসাদ, সি.আই.এ, ফ্রিমেসনারী, গ্ল্যাডিও, বিভিন্ন মাফিয়া ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্টি - এদের দ্বারা সংঘটিত নানান অপকর্মসমূহ। )
( আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অন্ধকার দুনিয়ার সাথে কালো আঁতাত।
মাফিয়া-গ্ল্যাডিও সিক্রেট সার্ভিস, পৃথিবীর বিভিন্ন মতাদর্শের লালিত-পালিত ভয়ংকর সন্ত্রাসী গোষ্টি ও তাদের অংশীদারদের কাহিনী। )
পিলে চমকানো সত্য ঘটনা। বিভিন্ন শাষকগোষ্টি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা ও স্বার্থ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্টির সাথে আঁতাত করে যুগে যুগে যে সব অপকর্ম করে এসেছে বা করে যাচ্ছে তার বিবরণ। “ সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ ” - নাম দিয়ে কীভাবে বিভিন্ন শাষক গোষ্টি স্বদেশ ও স্বগোত্রের ফায়দা হাসিলের জন্য যে সব অপকর্ম ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালাচ্ছে - তার প্রামাণিক দলিল।
বইয়ের প্রথম অধ্যায় শুরু ইসরেলি সিক্রেট সার্ভিস মোসাদ এবং এর সাথে অন্যান্য ভয়ংকর গুপ্ত সংগঠনের সাথে গোপন আঁতাতের চিত্রের মাধ্যমে।
এবং দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু ভেটিকেন (Vatican) নামক ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের কথা দিয়ে। উল্লেখ্য যে, ভেটিকেন হচ্ছে পোপের অফিসিয়াল বাসভবন যেটি ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভেটিকেন সিটিতে অবস্থিত। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে কীভাবে মেসনরা ক্যাথলিক ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়জনিত অবনতি ঘটিয়ে ৩৩ দিন স্থায়ী প্রধান যাজক প্রথম পোপ জন পল (John Paul 1) ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়। সাথে আরও উঠে এসেছে মেসনদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভেটিকেন (Vatican) তথা যাজকীয় শাসন, ইসরেল এবং ইহুদি - এই তিন অক্ষশক্তির অস্তিত্ব ও তাদের পারষ্পরিক সম্পর্ক ধরা পড়েছে।
বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে উঠে এসেছে বিভিন্ন মাফিয়াচক্র , অস্ত্র ব্যবসা ইত্যাদির গোপন চিত্র।
এই অধ্যায়ে আরও জানা যাবে আমেরিকার মাফিয়া ওয়ার্ল্ড এবং ইসরেলের নানান কুকীর্তি; ইসরেলি অস্ত্র ব্যবসার প্রভাবে, তাদের ছত্রছায়ায়, আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত বিভিন্ন ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী দল, গোষ্টি প্রভৃতির কথা। বইয়ের চতুর্থ অধ্যায় সূচিত হয়েছে পি২ মেসনিক লজ (P2 Masonic Lodge) এর কেলেঙ্কারি নিয়ে। শুরুতেই উঠে এসেছে বিভিন্ন লজ, মোসাদ এবং ইসরেলের মধ্যে গড়ে উঠা সম্পর্ক নিয়ে। বইয়ের পঞ্চম অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে কুখ্যাত গ্ল্যাডিও অরগেনাইজেসান এবং পি২ - এর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে। অনুসন্ধান করা হয়েছে পি২, মোসাদ এবং বিভিন্ন মাফিয়া চক্রের গোপন আঁতাতের প্রকৃতি নিয়ে।
4
THE BLOODY IDEOLOGY OF DARWINISM: FASCISM
ফ্যাসিজম: ডারউইনবাদ কর্তৃক অনুপ্রাণিত-প্রশ্রয়প্রাপ্ত ধ্বংসাত্মক যে মতবাদ
(256 PAGES, 299 PICTURES)
ফ্যাসিজম: ডারউইনবাদ কর্তৃক সৃষ্ট ধ্বংসাত্মক যে মতবাদ বিভিন্ন নামে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশে অতীতের ফ্যাসিজম আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দেশে দেশে। সতর্ক হউন!
বিংশ শতাব্দীতেই ফ্যাসিজম এর জন্ম এবং প্রসার। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরই ফ্যাসিজম এর ধারণা দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীজুড়ে। প্রথমে জার্মানি এবং ইটালি, পরে বিভিন্ন দেশে যেমন - গ্রীস, স্পেন এবং জাপানে ফ্যাসিজম এর উপর ভিত্তি করে শাষন প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিস্ট শাসন ঐসব দেশের মানুষের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন এবং নিষ্ঠুরতা বয়ে নিয়ে আসে।
ঐসব দেশের মানুষ অমানবিক শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত হয়।
ফ্যাসিজম নামের এই আদর্শ মানবতার উপর প্রচন্ড বোঝা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়। জাতি বা সম্প্রদায়গত বিভিন্নতার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়। গত শতাব্দীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সময়কালীন বিভিন্ন দেশের শাসকবর্গ একটি “ ভীতি ও আতঙ্কের সমাজ ” সৃষ্টি করে। এবং সমগ্র মানবিক মূল্যবোধ পদদলিত করে।
বর্তমানের ইতিহাস বইতে বিধৃত “ফ্যাসিজম” আসলে কোনো আদর্শ-টাদর্শ নয়। এটি এমন এক ধরণের দেশ পরিচালনা - যা হালের প্রায় সব দেশেই ঐ শাসন কমবেশী চলছে। বিভিন্ন দেশের শাসক বর্গ, রাজনৈতিক দল এবং পার্টিসমূহ নানা নামে, ছদ্মাবরনে কমবেশী ফ্যাসিস্ট ধরণের শাসন চালিয়ে যাচ্ছে । বরাবরের মতোই মানুষের মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে, বিরোধীদের অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা অতীতের চাইতে কোনো অংশে কম নয়। এটি অসম্ভব নয় যে অতীতের মুসোলিনি এবং হিটলারের মতো মানুষ যে কোনো মূহুত্বে দৃশ্যমান হবে।
এসব কারণে ফ্যাসিজম পৃথিবীর বুকে নতুন করে ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বা করে যাচ্ছে।
এই বইটি লিখিত হয়েছে মূলতঃ ফ্যাসিজম নামক ভীতি ও আতঙ্ক বিরুদ্ধে। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যে বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শাসনব্যবস্থাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে ওখানে ফ্যাসিস্ট প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। বিরুদ্ধবাদীদের নানারকম আইন কানুন বা অন্য নামের ছদ্মাবরনে দমন করা হচ্ছে বা নির্যাতন করা হচ্ছে। এবং এতে মনে হতে পারে যেন পূর্বের মুসোলিনি-হিটলার যেন আবারো ফিরে এসেছে।
এমনও দেখা যাবে যে ফ্যাসিজম সময়ে সময়ে ধর্মের পোষাক পড়ে নির্যাতন করে যদিও ধর্মের সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই। চুড়ান্ত বিচারে সময়ে সময়ে ধর্মের পোষাক পড়লেও ফ্যাসিজম মূলতঃ চরম ধর্ম বিরোধী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে। লেখক এখানে মূলতঃ ফ্যাসিজম নামক দানবের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
5
THE DISASTERS DARWINISM BROUGHT TO HUMANITY
(200 PAGES, 211 PICTURES)
ডারউইনবাদ মানবতার জন্য যে ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছিলো
বিংশ শতাব্দী। ১০০ শত বছর।
কী হয়েছিলো এই একশত বছরে। ধ্বংস, হত্যা, খুন, মার্ডার, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, গুম হয়ে যাওয়া। ওগুলো কোনো সামাজিক ঘটনা নয়। ওগুলো রাষ্ট্রীয় ঘটনা। রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড।
আর কী ছিলো বিংশ শতাব্দীতে? যুদ্ধ। যুদ্ধ। যুদ্ধ। রক্ত। রক্ত।
রক্ত। কে করেছিলো ওগুলো? করেছিলো অসভ্য, বর্বর, কুখ্যাত এবং মানবতা বিরোধী দুটি মতবাদ। কী সেই দুটি মতবাদ? একটি ফ্যাসিজম। অপরটি কম্যুউনিজম বা সোস্যালিজম। এই দুইটি মতবাদ পৃথিবীতে যত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, আর কোনো মতবাদ তা ঘটায়নি।
যদি প্রশ্ন করা হয় ঐ দুটি মতবাদের পিছনে আর কোনো মতবাদ প্রেরণা যুগিয়েছে কি? জবাব হচ্ছে “হ্যাঁ”। কী সেই একটি মতবাদ যার মদদে, প্রশ্রয়ে এবং প্রেরণায় কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলো? তার নাম “ ডারউইনবাদ”। এই ডারউইনবাদের কাহিনী নিয়েই এই বই।
বিংশ শতাব্দী ছিলো যুদ্ধ এবং সংঘাতের শতাব্দী। যে শতাব্দী ছিলো শবদেহের শতাব্দী।
লাশের শতাব্দী। ধ্বংসের শতাব্দী। দারিদ্রের শতাব্দী। অশ্রুর শতাব্দী। গণকবরের শতাব্দী।
এবং তা ঘটেছিলো কোনো একটি দেশে নয়। পৃথিবী জুড়ে। দেশের পর দেশে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মৃত্যু, আশ্রয়হীনতা, সাহায্যহীনতার শতাব্দী। মৃত্যু পর মৃত্যু।
বুলেটের মৃত্যু। ক্ষুধার মৃত্যু। চরম অনিশ্চয়তা জনিত আত্মহননের মৃত্যু। এমনি নানান কিসিমের মৃত্যু - যা বলে শেষ করার নয়। এবং ঐসব মৃত্যু পরোয়ানায় যাদের সিগনেচার ছিলো তারা হলো: ষ্টালিন, লেলিন, ট্রটস্কি, মাও সেতুং, পল পট, হিটলার, মুসোলিনি, ফ্রাঙ্কো।
তারা সবাই একটি সাধারণ মতাদর্শ অনুসরণ করতো। ফ্যাসিজম ও কমিউনিজম। এই দুটি মতবাদ পৃথিবীর মানব সমাজকে যুদ্ধে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো। ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে যুদ্ধ নামিয়েছিলো। যুদ্ধ, বোমাবাজি এবং ধ্বংস - এসবই ছিলো তাদের কর্মকান্ড।
ফ্যাসিজম এবং কমিউনিজম - এ দুটি মতবাদ পৃথিবীর বুকে মানবজাতির জন্য অন্ধকার নামিয়ে এনেছিলো। কিন্তু পিলে চমকাবার মত কথা এই যে, এ দুটি মতবাদকে প্রয়োজনীয় শক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছিলো যে একটি মাত্র মতবাদ, তা হচ্ছে “ ডারউইনবাদ”। আড়াল থেকে। নেপথ্যে। যেটি মানুষ এখনও ভালো করে বুঝে উঠতে পারেনি।
এটিকে এখনও মনে করা হয় নির্দোষ, নিষ্পাপ, নিঞ্ঝাটে। অথচ ভয়ংকর এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব। এর সাথে সহযোগী হয়েছে আরও একটি মতবাদ। বস্তুবাদ। বস্তুবাদ কীভাবে ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে আসে তা জানতে পড়ুন এই বই।
এসব নিয়েই এই বই এর কাহিনী।
ঐ ধ্বংসাত্মক মতবাদগুলোর কাহিনীর শেষে এ বইতে ওগুলো থেকে মুক্তির উপায়ও বলা হয়েছে। এবং তা হচ্ছে সহজ সঠিক পথ। আল কোরান দেখিয়েছে যেটি। কীভাবে? তা-ও বিশ্লেষণ করা আছে এখানে।
একটি অসাধারণ বই।
কেয়ামতের (The Judgement Day or Doomsday) উপর একটি ভিডিও প্রকাশনা:
Click This Link
চলবে ....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।