আমি বিধাতার রঙ্গে আঁকা এক অস্পষ্ট ছবি।
আমরা বাঙ্গালী খুবই অসহিষ্ণু । সামান্য কারনেই আমরা উত্তেজিত হই। ডঃ ইউনুসের নোবেল বিজয়ের কারণে আমরা তাকে মাথার উপর তুলেছিলাম। আর কিছুদিন আগে তাঁকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তারঁ চৌদ্দ গোষ্টী উদ্ধার করতেও আমরা পিছপা হয়নি।
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে দাতাদের সহায়তার লক্ষ লক্ষ ডলার অর্থ অন্য খাতে সরিয়ে নিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, নরওয়ের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা নোরাড সেই বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে৻
তারা বলেন, গোটা বিষয়টা পরিপূর্ণভাবে জ্ঞাত না হয়ে সম্ভবত ঐ তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে এবং অর্থ সরানোর বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে৻ এই অর্থ নিয়ে নরওয়ে সরকারের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোন ভুল বোঝাবুঝি নেই বলেও দাবি করেছেন কর্মকর্তারা৻ ১৯৯৮ সালের মে মাসের মধ্যে সেই অর্থের পুরোটা আবার গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে ফেরত দেয়ার পর সে সময়ই বিষয়টির মীমাংসা হয় বলে নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে৻
বাংলাদেশে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস-প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এরিক সলহাইম বলছেন, ব্যাংকের তরফে অর্থ তছরুপ বা দুর্নীতির কোন প্রমাণ তারা পাননি৻
তার মানে এই দাঁড়ালো ডঃ ইউনুসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের হুজুগে বাঙ্গালীপনা আসলে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে । নাও বাঙ্গালী ঠেলা সামলাও।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।