আমি সন্ধানি চিল, খুজেঁ চলেছি অন্তরের নীল...
ঘটনাটা কিভাবে ঘটেছে বলতে পারবো না, সেই ভীষন ভয়ংকর ঘটনাটা
তবে কখন থেকে শুরু হয়েছে তা মনে আছে
ঘটনাটা বুঝার জন্য আমি প্রথম থেকে শুরু করছি।
খুব ছোট বেলা থেকেই প্রিয় জিনিস বুকের বামপাশে রাখার আমার অভ্যাস হয়
সেখানে জমা হতে থাকে মায়ের ঘুম পাড়ানি গান, দিনান্তের আকাশ, সবুজ দেয়াল
রুপালি রাত সহ আরো অনেক কিছু।
কবীর সুমনের গান যা আজো প্রয়োজন হলে খুব সহজেই পেয়ে যাই
কিছু ভালো কবিতা, রুপকথা, বর্ষিতে মাছ ধরার নিয়ম কিংবা ফুটবল খেলায় গোলির ভুমিকায় মাঠে নামার স্মুতি। বন্ধুদের প্রিয় মুখ, আয়েশাদের বাড়ির পিছনের নর্দমার জলে বাতাসের দোল কিংবা বড় মামার সাথে নানা বাড়িতে কলাগাছ আর বাশগাছ লাগানো। এ সবই বুকের বাম পাশে সন্চয় হয়ে আছে কৈশোরে।
তোমাকে প্রথম দেখি বিয়ে বাড়িতে। প্রথম দেখাতেই ভালোলেগে যায়। তারপর বুঝতে পারি আমরা ভাবতে ভালো লাগে বিশেষ করে তোমাকে নিয়ে ভাবতে।
তারপর যৌবনের কতদিন চলে গেলো তোমার কথা ভেবে ভেবে। তারপর এলো সেই ভয়ংকর ঘটনার দিন।
সেই দিন যে দিন আমি তোমাকে বলে ছিলাম তোমার হাত ধরে আমার জীবন নদী পারাপার চায়। তুমি উত্তরে কি বলেছিলে আমি তেমন ভালো করে শুনতে পায়নি। শুধু বুঝেছি এ হবার নয়।
তারপর থেকে সেই ভয়ংকর ঘটনার শুরু। সেই ভয়ংকর ঘটনা
এখন আমার বুকের বামপাশে শুধু নিকোটিন জমে।
কিন্তু বামপাশে কেন? বামপাশে থাকে শুধু আমার প্রিয় জিনিস সেখানে তুমি থাকতে পারো কিন্তু নিকোটিন কেন? নিকোটিনতো আমার প্রিয় নয়।
সর্তকবানী: নিকোটিন বুকের বামপাশে কিংবা ডানপাশে বা উভয় পাশে, যেভাবেই জমুক না কেন মুত্যূ অনিবার্য।
বি:দ্র: আমার সমন্ধে অভিযোগ আমি নাকি কবিতায় সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেয়। অভিযোগ খারিজ করার জন্য সর্তকবানী লেখা হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।