আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারকদের বিব্রত হওয়া দেখে আমিও বিব্রত না হয়ে আর পার্লাম্না



"খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি" এমন একটা বিষয়, যেটা প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমের প্রচারনার কল্যানে অনেকটা "টক অব দ্য টাউন" হয়ে গেছে । ব্যক্তিগতভাবে আমি এই বাড়ি খালেদা জিয়ার দখলে রাখার বিপক্ষে। এটার আইনগত, রাজনৈতিক ইত্যাদি সবদিক পর্যালোচনা ছাড়াই আমি এর বিপক্ষে, কারন অভিজাত গুলশান এলাকাতেও তাকে বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বাড়ি না পেলেও তার মতো মানুষ পথে বসতো না, বরং বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডি..ইত্যাদি অভিজাত এলাকাতেই মহাসাড়ম্বরে থাকতে পারতো। যে উদ্দেশ্যে এই বাড়ি দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, সেটা সমর্থনযোগ্য কী-না তা নিয়ে বিতর্ক করারও কোনো অর্থ হয়না আমার মতো লোকের পক্ষে।

তবে তার মানে এই না যে আওয়ামী লীগ এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে পুরোটাই সাধু সাধু। এই বাড়ির ভুত-ভবিষ্যত নিয়ে বিন্দু মাত্রো মাথা ব্যাথাও আমার নেই। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে একটা বিষয় লক্ষ্য করে কিছু একটা না বলে আর পার্ছিনা। বাড়ি ছাড়ার সরকারী নোটিশের বিপক্ষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর দায়ের করা আবেদনের শুনানী শুনতে একের পর এক বিব্রত বোধ করছে হাইকোর্টের বেঞ্চ। আমার জানা নেই, এরকম বিব্রত বোধ করার আইনগত ভিত্তি থাকতে পারে হয়তো! আমার কথা হলো, দেশের শীর্ষ আদালত এইরকম গুরুত্ত্বপূর্ন ও বহুলালোচিত একটি বিষয় বিব্রত হওয়ার সুবাদে এড়িয়ে যেতে পারেনা।

আজও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রত হয়ে পাস-আউট করে দিয়েছে। বিব্রত হওয়ার এই কালচার ভালো লাগতেছেনা কেন জানি। বিষয়টার মধ্যে খুব শীগগিরই যদি সরকারের হস্তক্ষেপ আবিষ্কার করা হয়, তাতে অবাক হবো না। সেনাবাহিনীর বাড়ি গোল্লায় যাক, দেশে একটি স্বাধীন, নির্ভরযোগ্য বিচারব্যবস্থা কায়েম থা'ক, এটাই চাই।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.