৩০ নভেম্বর ২০১০ সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল। ডেকেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আর এতে সমর্থন দিয়েছে তাদের দোসর জামাতে ইসলাম।
কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছি না এই হরতালের যৌক্তকতা। খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্ট এর বাড়ি বেদখল হওয়ায় ঈদের আগে ১৪ নভেম্বর এর হরতালের সিকুয়াল এটা।
মানছি হরতাল গনতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু কোন হরতাল। হরতালের নিয়মানুযায়ী যে কেউ হরতাল আহবান জানাতে পারে, যারা তাতে সমর্থন দিবে তারা তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে বিরত থেকে সমর্থন জানাবে আর যারা সমর্থন দিবেনা তারা তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। কোনরুপ বল প্রয়োগ বা পিকেটিং হরতালের অংশ নয়।
রাতে নিউজ ক্লিপসে দেখলাম ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানে হয়েছে, হরতাল ৩০ তারিখে তাহলে কেন ২৯ তারিখে গাড়ি পুড়িয়ে আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিরোধী দলকে সম্মানের সাথে প্রশ্ন করে জানতে চাই, কার গনতান্ত্রিক াধিকার আদায়ে বা চর্চা করতে গিয়ে অফিস ফেরত মানুষের দূর্ভোগ বাড়াচ্ছেন আপনারা, কেন দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজাতে চাচ্ছেন? আজ যাদের দূর্ভোগে ফেলছেন তাদের ও কিন্তু গনতান্ত্রিক অধিকার আছে, ভোটের সময় আপনারাই হাত পাতবেন এই আম-জনতার কাছে, তখন আমরা ও কিন্তু বলবো আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশী তাকে দিব কিন্তু এমন কেউকে দিব না যারা হরতালের আগেরদিন গাড়ি পুড়িয়ে জনজীবনে দূর্ভোগ ডেকে আনে, এমন কেউকে আমার ভোট দিবনা যারা হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, এমন কেউকে দিবনা যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন নিয়ে দেশে অরাজকতা করে, এমন কেউকে দিব না যারা দয়া হিসাবে পাওয়া নিজের জমি ফিরে পেতে সমগ্র জাতিকে স্থবির করে দেয়।
কাজেই সাধূ সাবধান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।