আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দীর্ঘ ধসান্তে প্রতিমা সেই...

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)

মৃত বিজলীবাতির রাতে অন্ধকারের বুক চিরে বেরিয়ে আসা শব্দাস্ত্রসমূহে জল ও আকাশের অভিলম্বে মেঘের যে ঋণাত্মক ব্যবচ্ছেদ করেছিলাম সাহস করে নাম দিয়েছিলাম যার - কবিতা আর উৎসর্গ করেছি বছর দশেক আগে; যে ছিলো প্রতিমা আরাধ্য। নুয়ে পড়া চুলের অধোবিন্যাসে গাঢ় শাদা জমিন কালো চোখ সংযুক্ত কোমল হাত - সমকোমল কচি পা জোড়া আর সমতল বালুকাভূমিসম অপ্রশস্ত বুক... তারপর চাপা পড়েছিলো অনেক স্তর অন্ধকারে অনেক চুম্বন আর ফ্রয়েডীয় রাতে একান্ত নারীজ পরিচ্ছদ খুলতে খুলতে অসচেতনে খুলে ফেলেছিলাম বহ্নিবন্ধন! বিবশ জলশিকারি টের পেলাম শুধু চাঁদ নিয়ে ফুরিয়ে গেছে অন্য অন্ধকারে বগলদাবায় দশ টি বছর - দীর্ঘ ধস বছর যার প্রান্তে প্রতিমা মেঘের আড়ে পূর্ণনারীকলি... ছত্রিশশো পঞ্চাশ আর তিনটি অধিবর্ষদিন অনেক কাঠিন্য জমিয়ে গেছে সেই কোমল হাতে সমতল জুড়ে অনুচ্চ জোড়াপাহাড় নগ্ন পা দুটো কবেই ঢাকা পড়েছে সালোয়ারে তারপর একদিন প্রাকৃতিক লাল... আমার মুগ্ধ আহবানে - সে কেবল আলতো ছুঁয়ে জানালো এখন সে জানে সেই ভীনদেশি শব্দত্রয়ের মানে! বছর দশেক আগের কোন এক দিনের সায়াহ্নে বলেছিলাম যা কোমল স্পর্শে প্রতিমার কানে কানে নারীকলি প্রত্যুত্তরে তার আজ কেঁপে কেঁপে উঠেছে শিহরণে! আমি কেবল ছিঁড়ে ফেললাম তারপর মৃত বিজলীবাতি রাতের কবিতা টা যেখানে জল কে ভুলে এঁকেছি কাম আকাশ কে এক পরামিশ্রশরীর অন্ধকার ও প্রতিমার... আমি যে ফুরিয়ে গেছি দহিত প্যারাফিনের মত দশ বছরে। দীর্ঘ ধস বছরে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.