'অনাহূত অশরীরী' - অরাজকতার অমানিশায় দ্রোহের উদ্ভাসন!
শিরোনামটা পড়ে অনেকেই চমকে উঠবেন, জানি। ভাববেন, "পুরানো পাগলে ভাত পায়না, নতুন পাগলের আমদানি!" কিন্তু 'অনাহূত অশরীরী'- এটা কেবল নিছক কোন ছদ্মনাম নয়; এটা আমার সত্তার প্রচ্ছন্ন প্রকাশ- মনের গহিনে সয্তনে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহী আত্মার জয়োল্লাস।
'অনাহূত অশরীরী'- নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা না-বোধক ভাব উঁকি দেয় মনে, তাই না? এখানেই আমার ছদ্মনাম ধারণের সার্থকতা। 'অনাহূত' শব্দটার অর্থ দাঁড়ায়, 'অনিমন্ত্রিত' (uninvited), অর্থাৎ 'যাকে আহ্বান করা হয়নি'। কিন্তু চলার পথে অনেক সময়ই বাস্তবিক অর্থে 'অনাহূত' ব্যক্তির প্রয়োজন পড়ে।
আমার আগমন অনেকটা সেই কারণেই। 'অশরীরী' শব্দটার নিহিতার্থেই যেন আমার চরিত্র চিত্রন। 'অশরীরী' (immaterial কিংবা phantom) এর আনাগোনা সর্বত্রই। কোন বাধাই তার পথের প্রতিবন্ধক হতে পারেনা। বাস্তবতায় আমার লেখাও সেটারই দিক নির্দেশ করে।
যেখানেই অরাজকতা, অন্যায়-অবিচার, গোঁড়ামি কিংবা কুসংস্কার দানা বাঁধে- 'অনাহূত' হয়েও সেখানে আমার নির্দোষ পদচারণা, তার বিরুদ্ধে দৃপ্ত জয়োল্লাস। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে 'অনাহূত অশরীরী' অবিনশ্বর; কেননা যার মৃত্যু নেই- কোন হুমকি বা আশঙ্কা তার গতি রোধ করতে অপারগ।
স্বাগতম আমার স্পষ্টভাষিতা আর সত্যের নির্মল জগতে-
'অনাহূত অশরীরী' - অরাজকতার অমানিশায় সত্যিই দ্রোহের উদ্ভাসন!
© অনাহূত অশরীরী ♣ 2010
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।