একখান চাবি মাইরা দিচে ছাইরা জনম ভইরা চলতে আছে.।
মহানবী (সা.) বলেছেন “যে ব্যক্তি আমার উম্মতের উপকারার্থে ৪০টি হাদীস শুনাবে এবং হেফ্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন আলেম ও শহীদগণের সহিত উঠাবেন এবং বলবেন, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা বেহেশতে প্রবেশ কর। ”
এ বিরাট পূণ্য অর্জনের সুযোগ গ্রহণ করে লক্ষ লক্ষ পন্ডিতেরা মহানবীর (সা.) চল্লিশ হাদীস বর্ণনা করে গেছেন। এখানে হেফ্য করার দুটি মানে হতে পারে। ১. মুখস্থ করে তা লোকদের কাছে পৌছে দেয়া ২. লিখে প্রচার করা।
আলেমেরা উভয়টিই ব্যবহার করেছন। সবাই আমরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারি; আমার ফ্রেন্ডদের জানিয়ে, আমার কলিগদের শুনিয়ে, পুস্তক আকারে প্রকাশ করে অথবা ব্লগে লিখে। আমি শেষেরটাই বেছে নিয়েছি এবং হাদীসের প্রমান্য কিতাব থেকে হাদীসগুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
১. “তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান। ” ( বোখারী)
২. “কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যাই শোনে তাই যাচাই না করেই অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়।
” (মুসলিম)
৩. “হৃদয়রে প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য। ” (বোাখারী)
৪. “আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই আমলই সব চাইতে প্রিয় যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়। ” (বোখারী)
৫. “যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন যা ইচ্ছা তাই কর। ” (অর্থাৎ যখন লজ্জা নাই, তখন সকল প্রকার মন্দই সমান) (বোখারী)
৬. “ঐ ব্যক্তি বীর নয় যে কুস্তিতে লোকজনকে পরাভূত করে বরং বীর ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। ” (বোখারী)
৭. “যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বন্ঞিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বন্ঞিত।
” (মুসলিম)
৮. “ঐ ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুসলমান যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে মুসলমানগন নিরাপদ থাকে। ” (মুসলিম)
৯. “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। ” (বোখারী)
১০. “যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। ” (বোখারী) (চলবে)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।