আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুপালী স্মৃতি

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

আনেক্ষন ধরে ট্রেনটা ঠাই দাড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝে তারস স্বরে হুইসেল বাজাচ্ছে। কানে এসে লাগছে, কিন্তু বলার কিছু নেই। এরমাঝে আনেক ক্ষণ বসে বসে কাটানো এক কঠিন কাজ, সেই কঠিন কাজটিই বেশ সফলতার সাথে করে ফেললাম আমি। কারণ ব্যাখ্যা করলে বলতে হয় আমার ঠিক উল্টো দিকেই অনিন্দ্য সুন্দরী এক লালনা বসে আছেন।

আর তার সাথে প্রায়ই চোখা চোখি হচ্ছে, আর তখনই তার মুখটা খুব হাসি হাসি হয়ে উঠছে (সম্ভবত এটা আমার মনের কল্পণা)। আইনস্টাইন বলে এরকম একটা ঘটনার মাধ্যমেই আপেক্ষিক তত্বের একটা সহয বর্ণনা দিয়েছিলেন। যা হোক হটাৎ করেই ট্রেনটা চলতে শুরু করলো, যারা দেরি দেখে নেমেছিল তারা হৈ চৈ করে উঠলো। সবাই উঠার কারনে আমদের মাঝে একটা চীনের প্রাচীর রচিত হয়ে গেল, বন্ধ হয়ে গেল চোখা চোখি। ষোলশহর রেল স্টেষনে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা নেমে আসলো।

এবার নামার পালা। শেষ বার দেখার আসার আস্তে আস্তে নামতে লাগলাম। এমন সময় আমার নাম ধরে ডেকে উঠলো কেউ। মেয়ে কন্ঠের ডাক শুনে আমি যখন উৎস খুজতে ব্যস্ত তখনই বুকের ভিতর ধুক ধুক... সেই লালনাই আমাকে ডাকছে তাও আবার নাম ধরে, আমি কি গ্ঞান হারাবো নাকি মারা যাবো..... আপার কথা জিগ্যেস করতেই আমার ভুল ভাংলো, ততক্ষনে অবশ্য বড় আপুকে একটা ছোটখাট ছালামও দিয়ে ফেললাম। আপুর সাথে উনি যে কখন বাসায় এসেছিলেন মনে নেই।

তবে যখন কথা বললাম আনেকেই ইর্ষার চোখে তাকাল... আমার ভার্সিটি লাইফের একটা ঘটনা...সবাইকে বাসি ঈদ শুভেচ্ছা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।