সামুদ্রিক বিভ্রম
এখনো স্মৃতিভ্রষ্ট হই নাই। ।
পুকুরের ঢেউয়ে বালিশ সাজায়ে রাখা অন্যায় হবে- এরকমই বিধান ছিলো আমাদের শৈশবে; মানে মাননীয় এরশাদ যখন বন্যার পানিতে নেমে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে পোজ দিতেছিলেন।
এরকম শৈশব সবার আসে না। এরকম ডাহুক শিকার সবাই পারেনা।
ফাঁদ পেতে বসে থাকতে হয় সুদীর্ঘকাল-
ছোট্ট একটা মাছের কথা এখনো মনে আছে; আধডুবো ধানের ভিতরে আশৈশব বসে থেকে মাছটির চোখের রূপালী রঙ চিনতে পেরেছিলাম। রূপালী পর্দার মতো ক্লাইমেক্সে ভরপুর সাতার প্রতিযোগীতা চলতেছিলো তখোন সেই চোখে।
মাসকালাই গাছের ডালে টিয়ে যখন কামরাঙা খোঁজে
তখন বুঝতে হয় অনর্থ হয়ে গ্যাছে কোথাও; কোথায়?
হাফপ্যান্টের পকেটে এসবের কোন উত্তর থাকতো না।
মালতি। আমাদের মধ্যে তুইতো সবচে' ভালো সাপলুডু খেলতি।
সেজন্যই কি ওঝা সর্দার তোকে হরণ করেছিলো এক রাতের জন্য। ফিরে এসে আর কোনদিন লুডুর বোর্ডে হাত দিস নি। এবং তারপর থেকে তুই আগুন ভালোবাসতি খুব। আমি জানতাম; আমরা দেখেছিলাম এক ভোরে আগুনের সাথে তোর ভষ্মাদীর্ণ সঙ্গম ছাই।
আমাকে কি তোর মনে আছে আফিয়া বানু? অন্ধ চোখে কিভাবে স্বপ্ন দেখা যায়, আমাকে শেখাবি? আফিয়া, আফিয়া লো, তুইও শেষমেশ শিখে গেলি নাগরিক নিঃশ্বাস! ভুলে গেলি ভালোবাসার মতো আর কিছুই ছিলোনা তোর, কেবল বাম বাহুর জ্বলজ্বলে টিকার দাগ ছাড়া- একটি নীরব কিশোর যার পানি প্রার্থী ছিলো।
কতটা উচ্ছন্নে গেলে মালতির স্বপ্নে সুরেশ নেমে আসে;
কতটা উচ্ছন্নে গেলে সুরেশের চোখে আফিয়ারর স্বপ্ন দেখা যায়;
কলসেন্টারের কোকীল কন্ঠীরা উত্তরহীন; নিঃশব্দে কাঁদে ...; জুন এর রোদের দুপুরে সড়কের পাশ ঘেঁষে বসে থাকা কুমোরের মাটির হাড়িতে এইসব শৈশব রক্ষিত আছে জেনে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।