চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
গতকাল এক পোষ্টে এক নাস্তিক মহান এক আবিস্কারে সবাইকে চমকে দিল।
ঈভ টিজিং এর জন্য নাকি ইসলাম দায়ী (পোষ্টটা ভাল মত পড়ার মত ধৈর্য ছিল না)। ইসলাম পুরুষদেরকে উতসাহ যোগায় মেয়েদের নির্যাতনের। অনেক সামু বুদ্ধিজীবি এতে সুর মেলালেন, কেননা যদি না আবার নাস্তিকেরা তাদেরকে মৌলবাদী ভেবে বসেন। যাহোক আমি নীচে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম।
যে পরিসংখ্যানটা ইউরোপের, যেখানে সামু বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন মেয়েরা সবচাইতে বেশি স্বাধিনতা ভোগ করেন, ইসলামের মত তাদেরকে বোরখায় ঢেকে রাখা হয়না, যা কিনা সব অনিষ্টের মূল।
পরিসংখ্যানটা আবার ইউনিসেফের, লাদেনের না।
অস্ট্রিয়ায় কর্মস্থলে শতকার ৮০ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
জার্মানীতে কর্মস্থলে শতকার ৭২ জনের মত মহিলা জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার বিভিন্ন মাত্রার যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
লুক্সেমবার্গে জীবনে অন্তত একবার ৭৮% মেয়ের যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
হল্যান্ডেও একই অবস্থা উপরন্তু ৩৬% মেয়েরা রীতিমত ভায়োলেন্সের শিকার হন।
ইংল্যান্ডে প্রতি ৪জনে তিন জনে মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
বেশির ভাগে নির্যাতনকারী হয় বস কিংবা কলিগ।
Click This Link
পুরুষতান্ত্রিকতার দোহাই দিতে গিয়ে আবার কিছু আবোল তাবোল গাইলেন ঐ নাস্তিক।
কিন্তু এটা বুঝতে কারো বাকী থাকার কথা নয় যে বদ তার কোন নারী পুরুষ ভেদ নেই।
ইউরোপে ৫% ক্ষেত্রে পুরুষেরা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয় আবার ক্যলিফোর্নিয়ার নাকি ইদানিং পুরুষের দ্বারা পুরুষ নির্যাতনের হার বেশ বেড়ে গেছে।
Click This Link
আবার ওখানে যুক্তি দেখানো হলে মেয়ে ছেলেদের মেশামেশিটা অবাধ হলে নাকি ঈভ টিজিং কমে যেত।
আপনাদের কি মনে হয়না দশ বছরের আগের চাইতে ছেলে মেয়েরা আরো বেশি মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে। সবকিছুই আরো বেশি খোলামেলা নয়কি। তাহলে ত দশ বছরের আগের চাইতে এ জাতীয় ঘটনা একেবারেই কমে যেত নয়কি
যাহোক আমাদের দেশের কর্মস্থলে মেয়েদেরকে এখনো যথেষ্ট সম্মান করা হয়।
যৌন হয়রানির ঘটনাও কম।
কিন্তু কিছু সামু বুদ্ধিজীবিরা আশা করছেন পশ্চিমা কালচারে পারদর্শী হয়ে আমরা নারীদেরকে (মা, বোনদের) আরো বেশি উন্মুক্ত করার সুযোগ খুজব, আর সুযোগ খুজব আরো বেশি যৌন নির্যাতনের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।