থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
একজন অধ্যাপক সম্প্রতি ইভটিজিং নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলেন। তাঁর লেখার ভেতরে এমন কিছু কথা ছিল যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
অধ্যাপক মহাশয় খেয়াল করেছেন যে কোন কোন প্রেমিক তাঁকে বলেছেন, যদি কোনো ছেলে বা কোনো পুরুষ আত্মীয় সৌরভের মতো একই অবস্থায় উপনীত হয়, যখন সে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে, তখন সে কী করবে?
তিনি এক যুবকের কাছ থেকে জেনেছেন যে, এক হাতে তালি বাজে না। সবাই ছেলেদের দোষ দেখে, মেয়েদের দোষ দেখে না।
অপর একজন [ একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ] তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে একটি জুনিয়র মেয়ের দুই বছর ধরে প্রেম চলছে। কিন্তু দুই মাস ধরে মেয়েটি তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তিনি টেলিফোন করলে গালাগাল করেন। তাঁর তাই মেয়েটির বিরুদ্ধে সৌরভের মতো রাগ ওঠে। তিনি কী করবেন?
এক মনোরোগ চিকিৎসকের ভাষ্য হল তাঁরা খুন হবার আগের ঘটনাগুলো কিছুটা হলেও জানেন।
এই চিকিৎসকের মতে, তাঁর কাছে একজন রোগী আসে যে খুব মেধাবী ছাত্র ছিল, কিন্তু প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এখন সে তার প্রেমিকা মেয়েটিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে এতই বদ্ধপরিকর যে উপায়ান্তর না দেখে তার আত্মীয়স্বজন তাকে চিকিৎসক বন্ধুর কাছে নিয়ে এসেছে পেশাগত চিকিৎসার জন্য।
মনোরোগ চিকিৎসকের মতে, মেয়েরা বাস্তবিকই অ্যাজেন প্রভোক্যাটেয়র বা প্ররোচনাকারী হিসেবে কাজ করে। তারা পুরুষ বা প্রেমিককে উত্ত্যক্ত করতে করতে এমন পর্যায়ে নিয়ে আসে, যাতে প্রেমিক দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে।
এমন কি অধ্যাপক মহাশইয়ের ক নিকটাত্মীয়া তাঁকে ধমক দিয়ে বলেছেন, এখনকার মায়েরা পুরাতন দিনের মায়েদের মতো নয়। তাঁরা মেয়েদেরকে ছেলেদের যে চোখে দেখে সে চোখেই দেখে, বরং আরও বেশি আদরের চোখে দেখে।
ইভরা একটু ন্যাকামি করবে, একটু আদুরে গলায় কথা বলবে, টাইট ফিট কাপড় পরে মাঠে-ময়দানে ঘুরবে আর ছেলেদের মাথা খাবে, একটু ছেলেদের নাচাবে। কিন্তু তাই বলে কি ছেলেদের উচিৎ হবে ইভদের সকাল সন্ধ্যা টিজ করা?
মেয়েদের বলা অনেক কথাই তাদের ঘনিষ্ঠ ছেলেরা/ প্রেমিকরা ফেলতে পারেন না। জানতে ইচ্ছা করে, আদম কি স্বেচ্ছায় গন্ধম খেয়েছিলেন? তা হলে একে কি বলব "অ্যাডাম-টিজিং"?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।