আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এখানে মূল্যবোধ আর ঐতিহ্যগত সম্পর্কের চেয়ে স্বার্থই বড়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেইটস বলেছেন, এশিয়ায় তুলনামূলক বৃহৎ সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বার্ষিক নিরাপত্তা আলোচনায় যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে গেইটস তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন সামরিক প্রভাব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে জলদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করা এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, দুর্যোগ সহায়তা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর নজর দিবে।
গেইটস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগ ভূ-খণ্ড সম্পর্কিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়া চীনকে ঘিরে ফেলার জন্য নয়। এ অঞ্চলে নতুন করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনাও যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
পেন্টাগনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব এশিয়া ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে আমাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার এবং নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন। ’
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর ও চীন সাগরে নিজেদের সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় পরোক্ষ লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও নয়া পরাশক্তি চীন। সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশ এসব অঞ্চলে পাল্টাপাল্টি নৌ মহড়ার আয়োজন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।