নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
‘ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ’ প্রকাশিত ওই জরিপে দেখা যায়, নারীরা সাধারণত তাদের ঘনিষ্ঠজন বা পুরুষ সঙ্গীদের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার হয় বেশি।
বাংলাদেশ, চীন, ক্যাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং শ্রীলঙ্কার ১০ হাজারেরও বেশি পুরুষের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
জরিপে অংশ নেয়া ২৪ শতাংশ পুরুষই তাদের স্ত্রী, বান্ধবী কিংবা সঙ্গীনীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই- এ্মন নারীকে ধর্ষণ করেছে প্রতি ১০ জনে একজন।
জরিপে অংশ নেয়া পুরুষের প্রায় অর্ধেকই একাধিক নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
দেশ ভেদে ধর্ষণের হারে তারতম্য দেখা গেছে।
পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রতি ১০ জনে একজন পুরুষ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশের শহর এলাকায় ধর্ষণের হার কম, ১০ জনে একজনেরও নিচে। কিন্তু শ্রীলংকায় এ হার ১০ জনে একজনের বেশি।
ক্যাম্বোডিয়া, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ায় এ হার ৫ জনে একজন থেকে জরিপে অংশ নেয়া পুরুষদের প্রায় অর্ধেক।
বাংলাদেশে জরিপে অংশ নেয়া পুরুষদের ১১ শতাংশ ধর্ষণের মতো অপরাধ করার কথা স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, পাপুয়া নিউ গিনিতে এ হার ৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাপ্রবণ দেশ না হলেও এদেশে (কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই এমন নারী) ধর্ষণের হার অনুমান ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা দেখেছেন, শৈশবে কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন বা বাজে আচরণের শিকার হওয়া পুরুষদের মধ্যে ধর্ষণের প্রবণতা বেশি।
তাছাড়া, যেসব পুরুষ তার সঙ্গীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, অর্থের বিনিময়ে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয় কিংবা যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী থাকে তাদের ক্ষেত্রেও ধর্ষণের মতো অপরাধ করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ওপর বৃহত্তর জাতিসংঘ প্রতিবেদনের আওতায় মঙ্গলবার গবেষণার এ ফল প্রকাশ করা হয়।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মসূচি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে এবং সুইডেন সরকারের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।