একটা জরুরী কাজে কমলাপুর থেকে কাকরাইল যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় ৬ নম্বর বাসের কাউন্টারে দাড়ায়া ছিলাম। হটাৎ একটা পিচ্চি পোলা এস পাশে দাড়াল। চুল স্পাইক করা। হাতে ব্যান্ড। মহা টাইট শার্ট।
তার সাথে পাল্লা দিয়ে ঢোলা প্যান্ট। বেয়ারা প্যান্টখানা বার বার কোমর থেকে পড়ে যেতে চাচ্ছিল। কাধের ব্যাগ কাধে ঝুললেও আসলে মনে হয় রাস্তা ঝাড়ুর কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছিল। এসেই সে আয়েশ করে সিগারেট ধরাল। সেকি তার স্টাইল! সে আয়েশ করে সিগারেটে টান মেরে ধোয়া ছাড়ল পুরাই আমার মুখের উপর।
আমি বেচারা একবারেই সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারি না। কিছু বলার মত সাহসও বুকে নাই। ঝামেলা না বাড়ায়া লাইন অফ ফায়ার (সিগারেটের ধোয়ার) থেকে সরে গেলাম। হটাৎ দেখি এক লোক এগিয়ে এল। তারপর পিচ্চির কাধে হাত রেখে খুব সুন্দর করে বলল, "ছোট ভাই, কি কর?" সে খুব স্মার্টলী জবাব দিল, "পড়াশোনা করি।
" লোকটা আরো সুন্দর করে বলল, "কোথায় পড়?" পিচ্চিটা কিছু একটা উত্তর দিল। আমি ঠিক শুনতে পেলাম না। মনে হল, "........... স্কুলে"। স্কুলের নাম না শুনলেও ঠাশ ঠাশ থাপ্পরের শব্দগুলা ঠিকই শুনলাম। সাথে চলতেছে লোকটার গালী গালাজ।
"এইটুক পোলা, রাস্তায় দাড়ায়া সিগারেট ফোকে। সাহস কত...............। "
আশেপাশের লোকজন সব দৌড়ায়া এল। সবাই জানতে চাইল, "কি হইছে? এত ছোট পোলারে মারতেছেন ক্যান?" পোলাডা একটু সাহস পেল মনে হয়। বলে, "আমার টাকায় আমি সিগারেট খাই।
আপনার কি?" আর যাবে কোথায়? আরো কয়েকটা থাপ্পর। আমি দেরী না করে বাসে উঠে পড়লাম। জানালা দিয়ে তাকায়া দেখি, পোলাডারে কানে ধরায়া ছেড়ে দেয়া হল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।